কোন ওষুধ বাজারে আসার আগে ধাপে ধাপে প্রথমে প্রাণী এবং তারপর মানুষের উপর তা প্রয়োগ করে দেখা হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে লক্ষ্য থাকে যার উপর প্রয়োগ করা হচ্ছে তার যাতে ক্ষতি না হয়। অর্থাৎ ওষুধ প্রয়োগের ফলে বিক্রিয়া এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যাতে কারোর জীবন বিপন্ন না করে। তারপর ধাপে ধাপে করা হয় ওষুধটির কার্যকারিতা অর্থাৎ মূল লক্ষ্য সাধনে তা কতদূর সফল তার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বহু বছর জুড়ে এইসব পরীক্ষায় পরিকাঠামো এবং বিজ্ঞানীদের প্রানপাত পরিশ্রমের সময়ে ওষুধ উদ্ভাবকদের প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করতে হয়। এটা এই শিল্পে বিনিয়োগ হিসাবে দেখা হয়। পরবর্তীতে সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওষুধটি যখন বাজারে আসে তখন তার দাম ঠিক করার সময় এই প্রাথমিক খরচগুলোকেই ওষুধ নির্মাতারা যুক্তি হিসাবে খাড়া করেন। বেশীরভাগ নতুন উদ্ভাবিত ওষুধই ইদানীং বড় দামী।
“ডক্টর উইদাউট বর্ডার” (এম এস এফ) নামের ডাক্তারদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ ব্যাপারে একটি বিশ্লেষণাত্মক তথ্য পেশ করে জানিয়েছেন যে যত বেশী খরচ হয়ে গেছে বলে কোম্পানীগুলো জানায়, আসল খরচ তার থেকে অনেক কম। ওষুধের দাম নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সভায় “এম এস এফ” আশা প্রকাশ করেছে যে এরপরে ওষুধ কোম্পানীগুলো তাদের খরচ ঠিক ঠিক জানাবে। এ ব্যাপারে এই সংস্থা আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে একটি ‘অনলাইন’ ব্যবস্থ্যা তৈরী করার কথাও বলেছে যাতে কোম্পানীগুলো সব তথ্য লিপিবদ্ধ রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খরচ জানার ক্ষেত্রে এবং জানানোর ক্ষেত্রে অনেক স্বচ্ছতা আসবে। তাতে করে মানুষের মনেও এসংক্রান্ত ভাবনাগুলো পরিষ্কার হবে। ২রা মে ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় এই খবরটি প্রকাশিত।