ঈগল পাখীর মতো পৃথিবীর দিকে নজর রাখছিল ওরা তিনজন। সাথে সাথে পৃথিবীতে খবর পাঠাচ্ছিল প্রতিমুহুর্তে ঘটতে থাকা ওজোন স্তরের নানা মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানার।
টেরা, অ্যাকোয়া আর অরা- এই তিন কক্ষপথে দু’দশকের বেশী সময় ধরে ঘুরতে থাকা উপগ্রহ আমাদের খবর দিচ্ছিল আবহাওয়ার নানা গতিপ্রকৃতির, জঙ্গলের আগুনের দিকপথ, সামুদ্রিক তেল কোনপথে এগোচ্ছে তার গতিবিধির। অরার একটি যন্ত্রের নাম মাইক্রোওয়েভ লিম্ব-সাউন্ডার। তার কাজই হচ্ছে প্রতি কণা মুহুর্তে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে যে ওজোনগুলি তৈরী হয় এবং ধ্বংস হয় তার উপর নজর রাখা। সব হারিয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। এই তিনটি উপগ্রহ দ্রুত পৃথিবীর দিকে নেমে আসছে। তারা যখন নিভে যাবে, সাথে সাথে চলে যাবে তাদের পেটের ভিতর থাকা অনেক তথ্যও। এই তিনটি অসীম ক্ষমতাশালী স্যাটেলাইট হারিয়ে গেলে মহাকাশ এবং প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা যেমন অনেক কিছু হারাবেন, তেমনি যেতে তো হবেই একদিন, নতুনের জায়গা করে দিতে। নাসার বিজ্ঞানীরা তাই আলোড়িত কিন্ত হতাশ নয়।
মোহিতলাল মজুমদার লিখেছিলেন-
“ধ্বংসের চিতাভষ্ম পরে উড়াইয়া জ্বালা পৃথ্বীর
তৃণ অঙ্কুরে সঞ্চারি রস মধু ভরি বুকে মৃত্তির
সে আসিছে আজ কালবৈশাখে”
ছবি সৌজন্য: নাসা