যা কিছু জীবিত, প্রত্যেকেই প্রতিদিন কাজ করে চলে। মানুষ যেমন রোজ কাজ করে, তেমনই মানুষের কোষও। প্রতিদিনের নির্দিষ্ট কর্মসূচি প্রতিটা কোষেরই থাকে। তাতে নিত্যনতুন জিন আর কোষপথ উন্মোচিত হয়। এই কাজকর্মের অতীতকে লম্বা প্রোটিন শৃঙ্খলের মধ্যে ঢুকিয়ে সুষ্ঠুভাবে কোষগুলোকে সাজিয়ে দেখলেন বিজ্ঞানীরা। ছবিও তোলা হয়েছে লাইট মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে।
কীর্তিটা ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির একদল প্রযুক্তিবিদের। কোষের ভেতর ঠিক কী কী ঘটছে সেটা নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে ‘লিপিবদ্ধ’ করা থাকে। আর এই ধরণের প্রোটিন শৃঙ্খল অবিরামভাবে তৈরি করতে থাকে কোষ। পরে, ফ্লুরোসেন্ট কণার সাহায্যে এই প্রোটিনকে চিহ্নিত করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে পরীক্ষা করা যায়। ঠিক কোন সময় কোষের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটেছিল।
এই পদ্ধতির কি বিপুল প্রয়োগ হতে পারে বিজ্ঞানীরা সেটা ভেবেই উৎফুল্ল। স্মৃতির গঠন, ওষুধে প্রতিক্রিয়া, জিনের বৈচিত্র্য – নানা পৃথক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে এই কৌশল।
এমআইটিতে নিউরোটেকনোলজি বিভাগের নামজাদা অধ্যাপক এডওয়ার্ড বয়ডেন। উনি হাওার্ড হিউজেস মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটের তদারকের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। প্রোফেসর বয়ডেনের কথায়, একটা অঙ্গে বা দেহের সাপেক্ষে পরিবর্তন ঘটতে থাকে যেগুলো মোটেই নির্দিষ্ট সময়ে ধরা পড়ে না। এই বিশেষ পদ্ধতির সার্থক প্রয়োগ সম্ভব হলে কীভাবে রোগব্যাধি শরীরে বিস্তারলাভ করে কিংবা কোষের বয়েস কীভাবে বাড়ে এইসব গুঢ় বিষয়ে জানা যাবে।
নেচার পত্রিকার বায়োটেকনোলজি বিভাগে প্রকাশিত হল এই গবেষণাপত্র।