কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। পৃথিবীর মতোই পরিবেশ কোনও ভিনগ্রহে আছে কিনা খুঁজে বের করতে এই টেলিস্কোপকে প্রথম কাজে লাগানো হয়েছিল ২০০৯ সালে। এই বিশেষ ধরণের গ্রহগুলোকে এক্সোপ্ল্যানেট বলা হয়।
প্রথম যে গ্রহ কেপলার শনাক্ত করেছিল সেটা প্রথমে নাকচ হয়ে যায় ভুয়ো বলে। কিন্তু ২০১৯ সালে মহাকাশবিজ্ঞানী অ্যাশলে কন্টোস ও তাঁর সহকর্মীরা প্রমাণ করেন যে সত্যিই ঐ গ্রহের অস্তিত্ব রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহটার নাম দেওয়া হয়েছিল কেপলার ১৬৫৮বি।
কয়েক বছর পরে, ২০২২ সালের শুরুতে কন্টোস এই গ্রহের ভাগ্যে কী আছে সেটা বলে দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, যে নক্ষত্রের চারপাশে ওটা ঘুরছিল সেটার মধ্যেই ধীরে ধীরে পতিত হবে কেপলার ১৬৫৮বি। ঐ নক্ষত্রই গিলে নেবে গ্রহটাকে। বলা যায়, নক্ষত্র কর্তৃক খুন।
গ্রহের মাপ বৃহস্পতির মতোই। তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। নক্ষত্রটাকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় মাত্র তিন দিন। কিন্তু কন্টোস ও তাঁর সহ-গবেষকরা গত ১৯শে এপ্রিল অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস পত্রিকায় একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করলেন। তাতে তাঁরা জানিয়েছেন যে, গ্রহটা নক্ষত্রের দিকে আরও বেশি অগ্রসর হয়েছে এই তিন বছরে। অর্থাৎ গ্রহের ধ্বংস এগিয়ে আসছে ক্রমশ।