জিওফ্রে হিন্টন, পৃথিবীর তাবড় কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে একজন। গোটা দুনিয়া তাঁকে চেনে ‘দ্য গডফাদার অফ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বলে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিযন্ত্রের বিপদ আন্দাজ করে গুগলের চাকরিটা তিনি ছাড়লেন। চলতি সপ্তাহের সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বুনিয়াদি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিলেন জিওফ্রে হিন্টন। কিন্তু সমাজ ও মানবতার জন্য এই ক্ষেত্রই গভীর অসুখ হিসেবে দেখা দিতে পারে, হিন্টন এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আমেরিকার প্রথম সারির সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসে। তাঁর মন্তব্য উদ্ধৃত করে বললে, পাঁচ বছর আগের ছবিটার সাথে এখনকার পরিস্থিতি তুলনা করলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই ফারাকটা যদি দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ আতঙ্কের, এটা বলাই বাহুল্য।
হিন্টনের অভিযোগের তীর প্রযুক্তির ক্ষেত্রে রাঘববোয়ালদের নিয়ে। গুগল নিজে তার মধ্যে একটা। প্রতিযোগিতায় উৎরোতে দ্রুত গতিতে নিত্যনতুন এআই প্রযুক্তি সামনে আসছে। মানুষের চাকরির পরিবেশটা ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আর ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে চারিদিকে।
২০২২ সালেই গুগল আর ওপেনএআই প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে আরও বিস্তৃত তথ্যভাণ্ডার নিয়ে কাজকর্ম শুরু করেছে। চ্যাটজিপিটি-র জন্মও ওপেনএআই সংস্থার হাত ধরেই। নিয়ন্ত্রণহীন গবেষণা আর প্রযুক্তির দাদাগিরি নিয়ে সাবধান করছেন হিন্টন।