কোভিডে মৃত মানুষদের কথা এখন প্রায় কারোরই মনে নেই। বেশীরভাগ মানুষই ভাবতে চান না সেই অভিশপ্ত দিনগুলোর ঘটনা প্রবাহ। কিন্তু চালু আছে সেই শতাব্দীর বিচার- ভাইরাস এসেছিলো কোথা থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বিজ্ঞানের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেই কাজ প্রথম থেকেই ঘোলাটে হয়েছে রাজনীতির প্রভাবে। ২০২০ সালেই তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আওয়াজ তুলেছিলেন যে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজীতে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলাকালীন বন্য প্রাণীর ভাইরাস পরিবর্তিত হয়ে মানুষে চলে আসে। অর্থাৎ কোভিডের আঁতুড়ঘর চীনদেশ। আমেরিকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “ইকোহেলথ্ এ্যালায়েন্স”- যারা উহানের বিজ্ঞানীদের সাথে একসাথে গবেষণা করছিলেন তারা তখন থেকেই আমেরিকার প্রশাসনের রুদ্র রোষে। বিচার চলছে। সমন পাঠানো হয়েছে তৎকালীন আমেরিকার প্রধান বিজ্ঞানী অ্যান্টনী ফাউচিকেও। তার হাজিরার দেবার কথা আগামী মাসে। রিপাবলিকানরা তাকে গ্রেফতারের দাবীও করেছেন। গত সপ্তাহে কাঠগড়ায় সাক্ষী দিতে হয়েছে “ইকোহেলথ্ এ্যালায়েন্স”-এর মুখ্য নির্বাহী পিটার ডাসজাককে। সিলেক্ট সাবকমিটির সামনে তাকে জেরা করা চলে প্রায় তিন ঘন্টা। যদিও রিপাবলিকানরা পিটার ডাসজাককে অভিযুক্ত করার পক্ষে কোনও নতুন প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫লক্ষ পাতার নথি পরীক্ষা করা হয়েছে, সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে প্রায় ৭০০ ঘণ্টার। কিন্তু কিছুতেই মূল লক্ষ্যে পৌছনো যাচ্ছে না। মানে যে সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানরা আগের থেকেই নিয়ে রেখেছেন- সেই চীনা গবেষণাগারে উদ্ভবের তত্ত্ব, তার জন্য যথেষ্ট প্রমান নেই। তবুও পিটার ডাসজাক, অ্যান্টনী ফাউচি-দের বিচার চলছে। মনে হচ্ছে গ্যালিলিও কবরে নড়ে চড়ে বসছেন।