একশো বছর আগে যে স্প্যানিশ ফ্লু পাঁচ কোটি লোকের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল ১৯১৮ থেকে ২০-র মধ্যে, তার চার-চারটে ঢেউ এসেছিল। প্রথম ঢেউয়ের এপিসেন্টার ছিল ইউরোপ। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সেন্সরশিপ চলছে। অসুখের আতঙ্কে দেশপ্রেম মার খেলে সেনা পাওয়া যাবে না, ফলে সব দেশই খবর গোপন করছিল। ইউরোপে একমাত্র স্পেনই ছিল নিরপেক্ষ। প্রেস সেন্সরশিপ তারা আরোপ করেনি বলে খবরের সূত্র ছিল ওই স্পেন। তার থেকে নাম স্প্যানিশ ফ্লু। ১৯১৮-র প্রথমার্ধে আক্রান্তের হার কম ছিল না, কিন্তু মৃত্যুহার সাধারণ ফ্লু-র আশেপাশেই ছিল। উপরন্তু রোগটা যে ভাইরাস থেকে হচ্ছে এটা তখন বোঝা যায়নি। বুঝতে সময় লেগেছে ত্রিশ বছর। সেই সময় মারির জন্য দায়ী করা হচ্ছিল ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়াকে, ফাইজার’স নিউমোনিয়া যার নাম। দ্বিতীয় ঢেউ এল আগস্টে। আমেরিকান সৈন্যরা ফিরতে শুরু করেছে সারা বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে। দ্বিতীয় ঢেউ প্রথমে প্রাণ নিতে শুরু করল সৈন্যদের, তাগড়াই, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী অল্পবয়সী ছেলে তারা এবং তারপরে কাবু হতে থাকল সারা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অপেক্ষাকৃত নবীন জনগোষ্ঠী । এত মৃত্যু ঘটেছিল আমেরিকায় যে সে দেশে গড় আয়ু কমে এসেছিল বিশ বছর। যদি একটা লেখচিত্র কল্পনা করা যায় তা হলে গড় আয়ু এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে তীক্ষ্ণ ডাইভ মেরেছিল তার নজির মানুষের ইতিহাসে আর নেই। এখানেই শেষ নয়, ১৯১৯-এর জানুয়ারিতে এসেছিল তৃতীয় ঢেউ যখন জাহাজ চলাচলে যুদ্ধকালীন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। আর এর পরেও একটা ছোট চতুর্থ ঢেউ ১৯২০ সালে আমেরিকায়।
স্প্যানিশ ফ্লু অ্যান্টিবায়োটিক-পূর্ব যুগের কথা। টিকাকরণের ভাবনা তখনও সারা বিশ্বে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন। আজকের দুনিয়ার সঙ্গে তার কোনও তুলনা হয় না কি? রোগের কারণ যদি ভাইরাস না হয়ে অন্য কিছু হত তা হলে বলা যেত— না, সত্যিই হয় না। কিন্তু স্প্যানিশ ফ্লু-এর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অথবা আজকের করোনাভাইরাস-এরা যে ঠিক কতদিন ধরে মানবদেহের প্রতিরোধব্যবস্থাকে নাকাল করে আসছে তার উত্তর মেলা ভার। এই আর এন এ ভাইরাসদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জিন-চরিত্রে ঘন ঘন বদল এনে ফেলা। অ্যান্টিজেনধর্মিতায় বদল আনলে শরীরের পূর্বেকার সব চেনাজানাই চৌপাট, মনে হয় ইনি নতুন অতিথি বটেন। শরীরের স্বাভাবিক অথবা টিকা-প্রণোদিত প্রতিরোধক্ষমতা তাকে চিনে উঠতে পারে না। একটিই উদ্দেশ্য থাকে সংক্রমণের এবং জিন-চরিত্রে বদল আনার উদ্দেশ্যও তাই— আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে। পরবর্তী প্রজন্মের যে ভাইরাসগুলি সংক্রমণের পর তৈরি হবে এবং যে বিপুল সংখ্যায় তৈরি হবে তাদের সংক্রমণের সামনে নতুন পোষকদেহের অবস্থা যেন ঝানু ফাস্ট বোলারের সামনে ক্রিজে আসা টেল-এন্ডারের মতই হয় তা সুনিশ্চিত করতেই এই বদল। বদল সবচাইতে স্বাভাবিকভাবে আসে যে পদ্ধতিতে তাকে বলে মিউটেশন। মিউটেশন জিনচরিত্রে ত্রুটি আনে তো বটেই এবং প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হবার মত ত্রুটি আনে। ভাইরাসের ক্ষেত্রে, বিশেষত করোনাভাইরাসের মত ত্রিশ থেকে বত্রিশ হাজার নিউক্লিওটাইড বিশিষ্ট আরএনএ ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ নিউক্লিওটাইডের জন্য অন্তত একটি করে ত্রুটি তার জিনোমে জমা হওয়া সম্ভব। এত ত্রুটি নিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যে অপত্যেরা সংক্রমণ-চক্রটি চালু রাখবে তাদের সঙ্গে মূল ভাইরাসটার মিল খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হবার কথা। মানুষের কথা ভাবুন- তার ডিএনএ জিনোমের প্রায় তিন কোটি নিউক্লিওটাইডের মধ্যে প্রতি দশ হাজার বা এক লাখেও এই ভুল থেকে যেত তাহলে মানুষের সন্তান সুস্থ এবং মানবসদৃশ দেহগঠন নিয়েই জন্মানো অসম্ভব হত। প্রকৃতি সে জন্যই প্রতিটি কোষের মধ্যেই রেখে দিয়েছে এক প্রুফরিডার। সেটা আসলে একটা প্রোটিন যা জিনোমের ভুল বর্ণবিন্যাসকে বদলে সংশোধন করে দেয় জীবনখাতার প্রতি পাতার এই গুচ্ছ গুচ্ছ ভুল। তথাপি ভুল থেকে যায়, একটা ভুল সংশোধন হতে পারা না পারার কারণে কারও রক্ত স্বাভাবিক হয়, কেউ ভোগে জন্মগত রোগে। কারণটা ওই মিউটেশন। এই ভুলগুলোর মধ্যে কোনওটার ফলাফল হাতে গরম, পরের জনুতেই লভ্য, আর কোনটা ত্রুটি বলে টেরই পাওয়া যায় না। বলবার কথা এই যে, আর এন এ ভাইরাসগুলোর ভিতরে করোনাভাইরাসে এই প্রুফরিডিং ব্যবস্থা আছে। তার মিউটেশন হার যে কারণে ফ্লু ভাইরাসের তুলনায় কম করেও হাজার গুণ কম। তবে তুলনায় কম হলেও করোনাভাইরাসে মিউটেশন হার ফেলে দেবার মত নয় এবং একবার মিউটেশন হলে প্রুফরিডিং ব্যবস্থা থাকার জন্য তার স্থায়িত্বও অপেক্ষাকৃত বেশি। আক্রান্ত কোষের স্বাভাবিক বা টিকাসঞ্জাত প্রতিরোধব্যবস্থা করোনাভাইরাসকে চিনতে পারে কোষের ভিতরে অনুপ্রবিষ্ট হবার আগেই তার স্পাইক প্রোটিনের গঠন থেকে কিন্তু মিউটেশন অনবরত স্পাইক প্রোটিনের জিনে বদল এনে এই চেনাজানাকে অর্থহীন করে দিতে চাইছে। আর একটা বড় অস্ত্র যেটাকে সে তার তূণীরের শক্তিশেল করে তুলেছে সেটা হল রিকম্বিনেশন।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাস যে আরও মারাত্মক হয়ে উঠল তার প্রধান কারণ হল রিকম্বিনেশন বা পুনঃসংযোজন। ধরুন, ইংল্যান্ড থেকে ‘ক’বাবু বয়ে নিয়ে এসেছেন করোনার ব্রিটেন স্ট্রেইন যেটা একটা স্পাইক মিউটেশন এক্স-কে বহন করছিল তার জিনোমটিতে। ব্রাজিল থেকে ‘খ’বাবু আর একটা স্ট্রেইন নিয়ে দেশে ফিরেছেন। এটাও স্পাইক জিনের ভিন্নতর জায়গায় অন্য একটা মিউটেশন ওয়াই বহন করছে। দুটোই সংক্রামক এবং শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থা কমবেশি খাবি খেতে খেতেও আলাদা আলাদা করে দুটোকেই চিনে উঠছিল। এমন এক সময়ে কলকাতায় এক বিয়েবাড়িতে ‘ক’বাবু ও ‘খ’বাবু দুজনেই নিমন্ত্রিত হলেন। দুজনেরই কমন ফ্রেন্ড ‘গ’বাবুর সঙ্গে দেখা হল, হ্যালো হাই হল এবং ব্রিটেন ও ব্রাজিল উভয় দেশের প্রতিনিধিই বাসা বাঁধল ‘গ’বাবুর গলা থেকে ফুসফুসে। আক্রান্ত কোষগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়ল দুটোরই জিনোম। এই ঘটনা, কো-ইনফেকশন বা সহ-সংক্রমণ যার নাম, তার একাধিক পরিণতি হওয়া সম্ভব। তার মধ্যে একটা হল এই দুটো জিনোমই নিজেদের মধ্যে খণ্ড বিনিময় করে এমন একটা আরএনএ তৈরি করে ফেলল যার মধ্যে এক্স এবং এবং য়ওয়াই দুটো মিউটেশনই ঢুকে পড়েছে। বুঝতেই পারছেন, এক্স এবং ওয়াই যারা ছিল যথাক্রমে ব্রিটেন ও ব্রাজিলের একমাত্রিক প্রতিভূ তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে বিবাহ সম্পন্ন করে যদি দ্বিমাত্রিক এক্স+ওয়াই হয়ে যায় তাহলে তার সংক্রমণে বেচারি ‘গ’বাবুর এবং তার থেকে পরবর্তী অন্য সব বাবুরই কাবু হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে। এটা একটা রিকম্বিন্যান্ট এবং এটা অবশ্যই নতুনতর প্রকরণ যার অ্যান্টিজেনধর্মিতা কোষের স্মৃতিতে নেই। নভেল করোনাভাইরাসের উদ্ভবই এই রিকম্বিনেশন বা পুনঃসংযোজনের মাধ্যমে । এরকম রিকম্বিনেশন প্রাণিদেহে আশ্রয় নেওয়া বা জুনটিক আরএনএ ভাইরাসের চরিত্রকে ঘনঘন বদলে দিচ্ছে এবং সাধারণত এই রকম রিকম্বিনেশন ঘটছে এমন প্রাণিদেহে যা ভাইরাসটির স্বাভাবিক পোষক। ২০০২ এর সার্স (এসএআরএস) বা ২০১৩ এর মার্স (এমইআরএস) এভাবেই ধরায় অবতীর্ণ হয়েছিল যথাক্রমে সিভেট ক্যাট ও উটের মধ্যে রিকম্বিনেশন ঘটিয়ে। এবারেও এমন কোন প্রাণী উৎস নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত হয় নি তবে নভেলের আবার নতুন করে নভেলতর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা যে কোন সময় থেকে যাচ্ছে।
ডবল মিউট্যান্ট রিকম্বিনেশনজাত কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ভারতে ডবল মিউট্যান্ট প্রথম দেখা গিয়েছিল অক্টোবরে। ফেব্রুয়ারি মাসে মহারাষ্ট্রে কোভিডের যে বাড়বাড়ন্ত আবার নতুন করে দেখা দিল তার কারণও বি.১.৬১৭ নামের একটা ডবল মিউট্যান্ট যেটা এল ৪৫২আর এবং ই৪৮৪কিউ নামে তার আগে পরিচিত দুটো আলাদা আলাদা মিউট্যান্টের চরিত্র বহন করছে। পরবর্তীতে এই ডাবল মিউট্যান্ট অপর এক বা একাধিক একক বা ডবল মিউট্যান্টের সঙ্গে খণ্ড বিনিময় করে করোনাভাইরাসের এমন কিছু প্রকরণ তৈরি করবার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে যার থেকে শুরু হতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। ডবল মিউট্যান্টকে সব সময় আরটিপিসিআর পরীক্ষাতেও ধরা যাচ্ছে না। জিনোম সিকোয়েন্সিং ছাড়া এই ব্যত্যয়গুলোর চরিত্র বোঝা মুশকিল। লজ্জার কথা, ভারতে সিকোয়েন্সিং-এর সুযোগ এখনও প্রয়োজনের তুলনায় অতি অপ্রতুল। ফলে একটা রিকম্বিন্যান্টকে যখন চেনা যাচ্ছে তখন ভাইরাস সেটাকে পিছনে ফেলে অনেক এগিয়ে গেছে। আর একটা প্রকরণ যা মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় এবং দিল্লির পাশাপাশি বাংলাকেও তছনছ করছে সেটি সম্ভবত এটি একটি ট্রিপল (অথবা কোয়াড্রুপল) মিউট্যান্ট যার স্পাইক প্রোটিনে চার চারটে মিউটেশন আছে। চারটের মধ্যে দুটো অবশ্যই বি.১.৬১৭ থেকে আসা এবং অপর দুটি, দুটি স্বতন্ত্র উৎস থেকে।
এভাবে মিউটেশন-রিকম্বিনেশন-নয়া প্রকরণের ঘুর্নায়মান চক্র আরও কতদিন চলবে তা এই মুহূর্তে কারও পক্ষেই নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। ভাইরোলজির একটা শাখা আছে যাকে বলা হয় প্যালিওভাইরোলজি, যা চর্চা করে মিউটেশন আর রিকম্বিনেশনের প্রত্ন ইতিহাস নিয়ে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের জিনোম আর এন এ চরিত্রের বটে তবে তা আট খন্ডে খন্ডিত। আট খন্ডের সব কয়টি না মিললে আক্রান্ত কোষে অপত্যের দেহগঠন সম্পন্ন হতে পারে না। ভেবে দেখুন দুটি আলাদা ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস একই দেহে বাসা বাঁধলে কতরকম ভাবে এদের মধ্যে খণ্ড বিনিময় সম্ভব। কার্যত এটাই হয় বলে একশো বছর পরেও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রায় সমান সংক্রমক এবং এখনও তার সমস্ত প্রকরণের বিরুদ্ধে সমান কার্যকরী কোনও টিকা নেই। করোনাভাইরাসের জিনোম খন্ডিত নয় এবং প্রুফরিডিং ক্ষমতা থাকার জন্য এর বিরুদ্ধে কার্যকরী টিকা পাবার সম্ভাবনা অন্তত নীতিগতভাবে বেশিই ছিল। টিকা যেগুলি এসেছে, সেগুলি বিভিন্ন মাত্রার কার্যকারিতা প্রদর্শন করছে এটাও ঠিক। কিন্তু অতিমারির দিন অচিরেই অতিক্রান্ত হবে এমন কথা হলফ করে কারোও পক্ষেই বলা অসম্ভব। নভেল করোনা নভেল বা নতুন বটে তবে মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে এমন করোনাভাইরাসের ইতিহাস প্রাচীন। এদের ক্রমোদ্ভব রিকম্বিনেশনের মাধ্যমে। মানুষে সংক্রমণকারী আর বাদুড়ে সংক্রমণকারী করোনাভাইরাস প্যাঙ্গোলিনের মধ্যে, উদবেড়ালের মধ্যে, উটের মধ্যে খণ্ড বিনিময় করে মহামারি সৃষ্টি করার নজির এই বর্তমান শতকেরই। বলার কথা, এর কোনওটাই এখনও মানুষের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ যায়নি। মিউটেশন বা রিকম্বিনেশন যে সর্বদাই মারাত্মক তা ভাবা ভুল । বরং ক্রমাগত মিউটেশনের ফলে তারা দুর্বলতর হয়ে যেতে পারে, যেমন হয়েছিল ২০০২ এর সার্স বা ২০১৩-এর মার্স মহামারির ক্ষেত্রে। সেই প্রকরণগুলোর মারক ক্ষমতা কোভিডের তুলনায় বহুগুণ বেশি ছিল, কিন্তু ঝটিতি দুর্বল হয়ে আসার ফলে এবং ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা ছিল বলে এদের ক্ষেত্রে কোনও টিকা লাগেনি। পারিস কোভিড-২ কিন্তু দুর্বল হয়ে আসার কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না এখনও। উপরন্তু, প্রুফরিডিং ব্যবস্থা আছে বলে এর মিউটেশন একবার স্থায়ী হয়ে গেড়ে বসলে তা অচিরেই দুর্বল হবে এমন সম্ভাবনা কম এবং যত মানুষে মানুষে মেলামেশা বাড়বে, ছদ্ম-নিরাপত্তাবোধ বাড়বে, আমাদের সুরক্ষা আয়ুধগুলোকে অদরকারি অনুমানে আমরা যত নামিয়ে রাখতে থাকবো ততই সহ-সংক্রমণের সুযোগ বাড়বে, রিকম্বিনেশনের সুযোগও বাড়বে। এভাবেই ভাইরাস মানুষের রোগ প্রতিরোধতন্ত্রকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা অনুবর্তী আরো আরো ঢেউয়ের দিকে।
তথ্যসুত্রঃ
১। David Cyranoski; Nature ; Vol 581 ; p.22-26 ; 7 May 2020
২। Nature 592 ,p.667-668: 21 April 2021