রোবটের উপর কি ট্যাক্স চাপাবে অ্যামেরিকা? হেসে উড়িয়ে দেওয়ার কথা একেবারেই নয়। মার্কিন মুলুকের নীতি-বিশ্লেষক, পণ্ডিত আর বিল গেটসের মতো প্রভাবশালী মানুষজন ইতিমধ্যেই বিষয়টা নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। রোবটের উপর কর ধার্য করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন বিল গেটস।
প্রসঙ্গটা কি অকারণ? অনেক কাজেই মানুষকে সরিয়ে সেই জায়গা দখল করেছে রোবট। ট্যাক্স চাপিয়ে সেই অর্থের মাধ্যমে কর্মীদের কাজে বহাল রাখা যায়। এখনও অবধি সারা পৃথিবীতে দক্ষিণ কোরিয়া রোবট ব্যবহারের জন্যে ফার্মকে দেয় ভরতুকির অঙ্কটা কমিয়ে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্ধারকগণ রোবট ট্যাক্সের ধারণাটা ভেবে দেখছেন কিন্তু এখুনি প্রয়োগ করার কোনও পরিকল্পনা নেই।
ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির কয়েকজন অর্থনীতিবিদ সম্প্রতি একটা গবেষণা চালিয়েছেন। হাতেকলমে এখনও অবধি যা প্রমাণ রয়েছে সেগুলো খুঁটিয়ে দেখে ওনাদের মত কর অবশ্যই লাগু হোক, কিন্তু পরিমাণে সামান্য। কিন্তু সেই একই যুক্তিতে বৈদেশিক বানিজ্যের উপরেও বাড়তি কর চাপা উচিৎ কারণ তাতেও অ্যামেরিকার কর্মসংস্থান কমে যায়!
অন্যতম মুখ্য গবেষক আর্নল্ড কস্টিনট বললেন, রোবট কিংবা আমদানি করা দ্রব্য দুটোর উপরেই লাগু হওয়া করের পরিমাণ অল্প হওয়াই উচিৎ। কিন্তু রোবটদের জন্য একটা বাড়তি বিপদ তৈরি হবে, সেটা আয়বৈষম্য। গবেষকদের নিদান, রোবটের উপর চাপান করের মাত্রাটা তাদের দামের উপর ১ শতাংশ থেকে ৩.৭ শতাংশের মধ্যে থাকুক।