সমুদ্রতলের উচ্চতায় (সি-লেভেল) মানুষের শরীর সবচেয়ে ভালো কাজ করে। আমাদের মস্তিষ্ক আর ফুসফুসের জন্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন একমাত্র এখানেই মেলে। কিন্তু অনেক বেশি উচ্চতায়, শরীর মোটেই ঠিকঠাক কাজ করে না।
মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে হলে পর্বতারোহীদের ২৮,০২৯ ফুট অথবা সাড়ে পাঁচ মাইল উপরে উঠতে হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। শুধু তাই নয়, ডেথ জোন নামের একটা বিশেষ অঞ্চল পার করাবার সাহস রাখতে হয়।
এই মৃত্যু উপত্যকা মোটামুটি ৮০০০ মিটার উচ্চতায়। এতটাই কম অক্সিজেন যে মিনিটে মিনিটে একেকটা করে কোষ মরতে থাকে। এই অঞ্চলে আরোহীদের মগজ আর ফুসফুসে অক্সিজেনের আকাল সবচেয়ে বেশি হয়। হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। আরও ভয়ঙ্কর যে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একেবারে পঙ্গু হয়ে যায়।
২০০৫ সালে এভারেস্ট জয় করা শাউনা বার্ক বলছেন, ঐ এলাকায় গেলে শরীর ভেঙে পড়ে আক্ষরিক অর্থে। বিষয়টা যেন সময়ের সাথে যুদ্ধ।
২০১৯ সালে, কমপক্ষে এগারো জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে এভারেস্টের ডেথ জোনে। কিছু অভিযাত্রী সংস্থা অভিযোগ করেছে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে কারণ ডেথ জোনে ভিড় বাড়ছে। এটা সত্যিও কিছুটা। প্রতিবছরই এভারেস্টে আরোহণ করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ঐ ভয়ঙ্কর ডেথ জোনে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রত্যেককেই। তাতেই বিপদের ঘটনাও বাড়ছে।