গোটা দুই দশক সময় জুড়ে টিউবারকিউলোসিসে মৃত্যুর সংখ্যাটা ইউরোপে ক্রমাগত কমছিল। কিন্তু ফের বাড়তে শুরু করেছে মৃত্যুহার। গত শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা সংক্ষেপে হু।
২০২১ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে ইউরোপ মহাদেশে মৃত্যু হয়েছিল ২৭৩০০ জনের। ঠিক তার আগের বছর কিন্তু সংখ্যাটা ছিল ২৭০০০-এ। কোভিড-১৯ অতিমারিকেই দায়ী করছে হু। লকডাউন, রোগ সারাবার রসদ, রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা সবটাতেই খামতি হয়েছে। কারণ, সবকটা দেশই অতিমারির চিকিৎসা আর প্রতিষেধকের বন্দোবস্ত করার কাজে ব্যস্ত ছিল। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে টিউবারকিউলোসিসের একটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট যার বিরুদ্ধে প্রচলিত ওষুধ কাজ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় শাখার তরফ থেকে জানান হয়েছে গত ২০ বছরের মধ্যে অবনতিটা প্রথমবারের জন্যে দেখা যাচ্ছে।
দুর্ভাগ্যের বিষয়, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া দুই দেশ রাশিয়া আর ইউক্রেনেই যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যাটা সবচাইতে বেশি। রাশিয়াতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯০০ জনের, আর ইউক্রেনে হিসেবটা ৩৬০০। হু-এর ইউরোপ শাখায় মধ্য এশিয়ার কিছু দেশও রয়েছে। যক্ষ্মারোগে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৩০০০০।
টিউবারকিউলোসিসের ব্যাকটেরিয়া প্রাথমিকভাবে মানুষের ফুসফুসে আক্রমণ করে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে রোগটা বাতাসে ছড়ায়। যদিও এই রোগে প্রতিরোধ আর প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু যক্ষ্মা নিরাময়ে যেসব পরিষেবা গোটা ইউরোপ জুড়ে চলে, সেটা কোথাও না কোথাও বিঘ্নিত হয়েছে, বিলম্বিত হয়েছে।