কলসপত্রীর নাম হয়তো আমরা সবাই শুনেছি। ঘটের মতো দেখতে একটা গাছ, পোকামাকড় সেই ঘটের মধ্যে ঢুকলেই উপর থেকে ঢাকনার মতো পাতা নেমে আসে। কলসপত্রীর মতোই পতঙ্গভোজী গাছের সন্ধান পাওয়া গেল ইকুয়েডরে। গাছটার নাম বাটারওর্ট, পিংগুইকুলা গণের অন্তর্ভুক্ত। এই গণের মাত্র একটা প্রজাতির গাছ ইকুয়েডরে ছিল বলে এতদিন ধারণা করতেন উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা।
বাটারওর্টের মোট ১১৫টা প্রজাতির কথা এখনও জানা গেছে। এই গাছের আঠালো পাতায় আটকে যায় কীটপতঙ্গ, আর সঙ্গে সঙ্গে তাদের ধরে হজম করে নেয় এই গাছ। বাটারওর্টের বেশিরভাগ প্রজাতির দেখা মেলে উত্তর গোলার্ধে। কিন্তু নতুন দুটো প্রজাতি আবিষ্কৃত হল পেরু-ইকুয়েডর সীমান্তের কাছাকাছি আন্দিজ পর্বতের উঁচু এলাকায়। এই নিরক্ষীয় অরণ্যে আরও নানা উদ্ভট প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে।
এমনিতেই নিরক্ষীয় অরণ্যে গাছপালার সমাহার এতটাই বেশি থাকে যে, টিকে থাকার জন্য নানা ফিকির দরকার পড়ে। এভাবেই বিবর্তিত হতে হতে অস্তিত্ব রক্ষার দৌড়ে এখনও সামিল আছে বাটারওর্ট। বাড়তি পোষণের জন্যেই পোকামাকড় ধরে খেতে হয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৪০০ মিটার উঁচুতে একটা লেগুণের ধারে পিংগুইকুলা জিম্বুরেন্সিসের দেখা পাওয়া গেল অবশেষে। অন্য প্রজাতিটার নাম পিংগুইকুলা অম্ব্রোফিলিয়া। এটা খুঁজে পাওয়া গেল একটা খাড়াই পাথরের কাছে, সেটার উচ্চতা ২৯০০ মিটারের কাছাকাছি।