কোষের অস্তিত্ব, কাজকর্ম, তারপর অনেককিছুই আবিষ্কৃত হয়েছে ইতিমধ্যেই। চিকিৎসাশাস্ত্র বা প্রাণীবিজ্ঞানের অনেক প্রশ্নের সার্থক উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়েছে কোষের ধারণা ব্যবহার করে। কিন্তু কেমন দেখতে কোষ? এই প্রশ্নটা সহজ নয় বিজ্ঞানীদের জন্যে। কিন্তু এবার সদুত্তরের অনেকটা কাছাকাছি আসা সম্ভব হয়েছে। সেটাও স্টেম সেলের প্রায় দু লক্ষ ছবি বিচার বিশ্লেষণ করার পর।
আমরা যদিও স্তন্যপায়ীর কোষ কিংবা গাছের কোষের ছবি পাঠ্যবইতে দেখেছি। কিন্তু সেগুলো শ্রেফ খসড়া ছবি মাত্র। কিন্তু কোষের ভেতরকার অরগানেল কিংবা অন্যান্য উপাদান মোটেই সেইসব ছবি থেকে ধারণা করা যায় না। এমনকি একইধরনের কোষের মধ্যেই অনেক বৈচিত্র্য থাকার সম্ভাবনা। যেমন – মানুষের শরীরের স্টেম সেল।
অ্যালেন ইন্সটিটিউট ফর সেল সায়েন্সের সহকারী অধ্যক্ষ সুজান রাফলেস্কির ভাষায়, কোষের গঠন থেকেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় সেই কোষের পরিচিতি আর চরিত্র। কিন্তু কয়েকটা বিষয় বাদ পড়ে যাচ্ছিল এই ক্ষেত্রের গবেষণা থেকে। সুজান যোগ করছেন, কীভাবে রোগের কবলে পড়লে কিংবা স্বাস্থ্যে পরিবর্তন এলে কোষের পরিবর্তন ঘটতে থাকে সেটা বোঝাও জরুরি। সেই নিরলস পদ্ধতিতেই কোষের প্রকৃত ছবিটা সামনে আসছে ক্রমে।
কীভাবে কোষ নিজের ভেতরটা গুছিয়ে নেয় সেটা বোঝার জন্যে একগুচ্ছ স্টেম সেল পরিক্ষা করা হয়েছিল। তারপর সবচেয়ে আধুনিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে ভেতরের গঠন নিখুঁতভাবে দেখা হয়েছে। ২৫টা আলাদা আলাদা অংশ দেখা হয়েছে। তালিকায় মাইটোকন্ড্রিয়ার মতো একাধিক বিশেষ গঠনও ছিল। ত্রিমাত্রিক ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। সংখ্যাটা দু লাখের কাছাকাছি।