ইউরোপের একাধিক দেশ জুড়ে রয়েছে বরফে ঢাকা আল্পস পর্বতমালা। তুষারাবৃত উঁচু উঁচু শৃঙ্গ থেকে সৃষ্টি হয়েছে ঠাণ্ডা জলের নদী। সেইসব নদীতেই বাস করে অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের অনেক প্রজাতি। তাদের নিয়েই এইসব গভীর নদীখাতে বিশেষ ধরণের বাস্তুতন্ত্রেরও সূত্রপাত ঘটেছিল।
কিন্তু নেচার পত্রিকার ‘ইকোলজি অ্যান্ড এভোলিউশান’ বিভাগে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই বিশেষ বাস্তুতন্ত্র নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু সংকটে হিমবাহ গলনের হার বেড়ে যাওয়ায় প্রাণীরা তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান হারাচ্ছে।
পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রার হেরফের রয়েছে। সেই অনুযায়ী জীববৈচিত্র্যও কিছুটা পৃথক। কিন্তু সিমুলেশন ব্যবহার করে গবেষকরা দেখাচ্ছেন, ২১০০ সালের মধ্যে কেবলমাত্র শীতলতর অঞ্চলগুলোতে যৎসামান্য টিকে থাকবে প্রাণীদের চিহ্ন। কিন্তু বিপদ কি শুধুই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য? না। পর্যটন শিল্পের হরেক ফন্দিফিকিরের চাপও আছে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যও পিছু হটছে বাস্তুতন্ত্র।
ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াটিক সায়েন্সের অধ্যাপক লি ব্রাউন এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে, সংরক্ষিত অঞ্চলের সীমানা অবশ্যই বাড়ানো উচিৎ। নাহলে, ৩৪০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে হাত পা ছড়িয়ে থাকা আল্পসের জীববৈচিত্র্য অচিরেই কয়েকটা পুরনো ছবিতে পরিণত হবে।