একটা ওয়েবসাইটের জন্যে অরোরার ছবি তুলতে আলাস্কা গিয়েছিলেন টড সালাট। কিন্তু শনিবার ভোরে ডেল্টা জাংশান শহরের কাছে টডের ক্যামেরায় যা উঠল সেটা অবিশ্বাস্য। আলোকচিত্র শিল্পী হিসেবে এত বছরের জীবনে এমন অদ্ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা টডের হয়নি।
কাঁপতে থাকা হালকা সবুজ আলোর যবনিকা রয়েছে পিছনে, সামনে একটা নীল আলোর উজ্জ্বল কুণ্ডলী। উত্তরের দিগন্তরেখা থেকে যখন মাঝ আকাশে উঠে আসছে ওই স্পাইরাল, আকারে আরও বড়ো হয়ে উঠছে। তারপর একটা সময় সেটা মিলিয়ে গেল। অ্যাঙ্করেজ ডেইলি নিউজের প্রতিনিধি অ্যানি বার্মানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টড বলছেন, আকাশের বুকে সুন্দর চিত্র প্রদর্শনী যেন!
কিন্তু রহস্যের উত্তরটা অতি সহজ। টড সালাট যখন আলোর কুণ্ডলী দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন, তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স একটা ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। স্পেসএক্স-এর ট্রান্সপোর্টার-৭ অভিযানের অংশ হিসেবে রকেটের সাথে দশ বারোটা স্যাটেলাইটও ছিল। উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরেই ফার্স্ট ষ্টেজ রকেট ফিরে আসে মাটিতে।
ফ্যালকন ৯ রকেটের উপরের অংশটা যখন ফিরে আসছে তখনই বাকি থাকা জ্বালানির সৌজন্যেই ওই আলোর কুণ্ডলী। গ্যাসের ভেতরে জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের অতটা উপরের স্তরে ঠাণ্ডায় হিমায়িত হয়ে ছোট ছোট ক্রিস্টালে পরিণত হয়েছে, যেগুলো আলো প্রতিফলনে সক্ষম। তা থেকেই তৈরি হয়েছে টড-বর্ণিত আলোর কুণ্ডলী।