দার্শনিকরা নন, ইতিহাসে দেখা যায় একমাত্র কবিরাই ভেবেছেন দৃষ্টিশক্তির অপূর্ব ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের চোখের বিবর্তন নিয়ে এখনও একরাশ ধোঁয়াশা। আলোক সংবেদন অর্থাৎ আলো পড়লে জীবদেহের প্রতিক্রিয়া থেকে শুরু করে কীভাবে জটিল ক্যামেরার মতো দুটো চোখ আমরা পেলাম? এটা কি ধাপে ধাপে একটা বুনিয়াদি ক্ষমতা থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উত্তরণ, নাকি এর পেছনে কোনও শর্টকাট আছে?
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো ক্যাম্পাসের অণুজীববিজ্ঞানী ম্যাট ডগহার্টি বলছেন, মানুষের চোখের বিবর্তন একটা বাইপাস ধরে হয়েছে। অর্থাৎ ধাপে ধাপে ধীরে ধীরে বিবর্তনের প্রচলিত নিয়মকানুন মেনে নয়। ডঃ ডগহার্টির মতে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য অন্য প্রাণীর জিন থেকে আসেনি। এসেছে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ থেকে। হরাইজেন্টাল জিন ট্রান্সফারের মাধ্যমে।
এই হরাইজেন্টাল জিন ট্রান্সফার বিষয়টা কেমন? বানর প্রজাতি থেকে মানুষের মধ্যে জিনগত বৈশিষ্ট্যের বিকাশের মতো নয়। বরং একেবারে অন্য বর্গের অন্য প্রজাতির জীবদেহ থেকে মানুষের দেহে কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট্যের সঞ্চার হওয়া। যেমন, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার শরীর থেকে মানুষের শরীরে জিনের আগমন।
নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, ইন্টারফটোরিসেপটার রেটিনয়েড-বাইন্ডিং প্রোটিনের আগমন হয়েছিল ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে। এই প্রোটিন প্রথম কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীর চোখের চরিত্র পাল্টে দিয়েছিল। সেখান থেকেই আমাদের এই উন্নত ক্যামেরার মতো একজোড়া চোখের উদ্ভব।