২০১২ সালে হিগস বোসন আবিষ্কারের সময় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল গোটা দুনিয়ার বিজ্ঞানমহলে। সুইজারল্যান্ডের সার্ন গবেষণা কেন্দ্রের নামও একইসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছিল। এবার আবার খবরের শিরোনামে সেই হিগস বোসন আর সার্ন। প্রথমবার দেখা গেল এক বিরল ঘটনা। হিগস বোসন কণা ভেঙে তৈরি হল একটা জেড-বোসন আর একটা ফোটন কণা।
ফ্রান্স আর সুইজারল্যান্ডের সীমানায় অবস্থিত সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার। পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলে উল্লিখিত কণাদের খোঁজ করা হয় এই সুড়ঙ্গের মতো ল্যাবরেটরিতে। বেলগ্রেডে পদার্থবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক এক সম্মেলনে সার্নের বিজ্ঞানীরা এই নতুন খবর পেশ করলেন।
হিগস ফিল্ডে কোয়ান্টাম ক্রিয়াকলাপের ফলে হিগস বোসন কণার জন্ম হয়। সেই সময় ওই ক্ষেত্রে থাকা অন্য মৌলিক কণার সাথে হিগস বোসনের মোলাকাত হয়। জেড-বোসন কণার আধান শূন্য অর্থাৎ এটা না ধনাত্মক না ঋণাত্মক। তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের জন্য দায়ী একটা দুর্বল বল এই কণার সাথে থাকে। আবার, ফোটন বা আলোককণা তড়িৎচুম্বকীয় বল বয়ে নিয়ে চলে।