অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ঘিরে শঙ্কা বেড়েই চলেছে

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ঘিরে শঙ্কা বেড়েই চলেছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ মে, ২০২৪

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছিল ভাইরাস দিয়ে। আর তাতে প্রাণ সংশয়ের মূল ভিত্তিই ছিল ইমিউনিটির এলোমেলো আলোড়ন। কিন্তু ৭৫ শতাংশ সংক্রামিত মানুষ যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন করোনার সংক্রমণে, তাদের উপর নানারকমের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে এরকম প্রয়োগ ছিল মাত্র ৮ শতাংশ। বাকি সব দিতে হয় বলে দেওয়া। ২৭শে এপ্রিল স্পেনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত “গ্লোবাল ক্লিনিক্যাল প্লাটফর্ম ফর কোভিড -১৯” এর সভায় যে তথ্য পেশ করা হয়েছে তাতে এই বিপজ্জনক খবর বেরিয়ে এসেছে। জানুয়ারি ২০২০ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত পৃথিবীর ৬৫টি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এরকম ৪,৫০,০০০ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার সারা পৃথিবীতে বেড়ে চলা “অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স”-এর বিপদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এই তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যান্টিবায়োটিকের আরও যুক্তিপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে। মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া এবং প্রেসক্রাইব করা আমাদের দেশেও বড় সমস্যা। এই রীতি এবং প্রবণতা যদি রোধ না করা যায় তাহলে সমূহ বিপদ। খবরটি ‘সায়েন্স’ পত্রিকার সংখ্যায় প্রকাশিত।