শুধু যে অবসাদের প্রতিকারেই অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট দেওয়া হয় তা নয়। দুরারোগ্য বা দীর্ঘ দিন ধরে চলা ব্যাথার নিরাময়েও এই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের নিদান দেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অন্য কথা শোনাচ্ছে। চিকিৎসকের দেওয়া এই প্রেস্ক্রিপশান অনেক সময়ই ঠিক উপায় নয়। কিছু বিশেষ ধরণের যন্ত্রণার ক্ষেত্রে সত্যিই অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট কাজ করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যায় না। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।
মুখ্য গবেষক ডঃ জিওভানি ফেরেইরা সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্য ইন্সটিটিউট অফ মাস্কুলোস্কেলেটাল হেলথের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বললেন, ক্রনিক ব্যাথা উপশম করা সত্যি মুস্কিল বিষয়। আর অনেক রকমের চিকিৎসা অনেক মানুষের ক্ষেত্রে কাজে আসে না। অসংখ্য ট্রায়াল অ্যান্ড এরর হয় সচরাচর। এমনকি মানুষজন চিকিৎসায় সাড়াও দেন না। বরং বলা যেতে পারে রোগটা ধরার জন্য চিকিৎসকের অনেক উপায়ের মধ্যে অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট হচ্ছে একটা।
ডঃ ফেরেইরা উদাহরণ দিচ্ছেন ডুলোক্সেটিনের। এই ডুলোক্সেটিন অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহৃত একমাত্র অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট। এই ওষুধটা ডায়াবেটিসের জন্যে হওয়া নার্ভের যন্ত্রণা প্রশমনেও কাজে লাগে। এছাড়া ঐ ওষুধের অন্য ব্যবহার হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই এই রকমের নিয়মের বালাই নেই। অ্যান্টিডপ্রেশান্টের সংখ্যাও বেশি আর তাদের মধ্যে বেশিটাই ব্যাথা নিরাময়ে কার্যকরী নয়।