বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার একটা নতুন রিপোর্ট সম্প্রতি সামনে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, উষ্ণতাবৃদ্ধির নিরিখে মহাদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপ। তাপমাত্রা বাড়ার হার এই মহাদেশেই সবচাইতে বেশি।
ইউরোপে জলবায়ু সংকটের হালের খবর কেমন? – রিপোর্ট বলছে, আল্পস পর্বতে হিমবাহের বরফ গলেছে ২৫ মিটারের বেশি; সেটাই ডেনমার্ক অধ্যুষিত গ্রিনল্যান্ডে ২০ মিটারের মতো। তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই গোটা পৃথিবী জুড়েই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের হাতেগরম ফলাফল আর্থিকভাবে মাপলে সেটা অ্যামেরিকান ডলারে ৫০ বিলিয়ন ছাপিয়ে যায়।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ইউরোপের এই সংকটাপন্ন অবস্থাকেই বিশ্বউষ্ণায়নের ‘লাইভ পিকচার’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে রিপোর্টে। ১৯৯০ সাল থেকে হিসেব শুরু করলে প্রত্যেক দশকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এই সমৃদ্ধ মহাদেশে। দ্বিতীয় উষ্ণতম মহাদেশটার তুলনায় এটা দ্বিগুণ হার।
তবে হাতেনাতে উষ্ণতাবৃদ্ধির খেসারতও দিচ্ছে ইউরোপ। আবহাওয়ার নানা বিরূপ বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে বাসিন্দারা। ৮৫% ক্ষেত্রেই সেটা হয় বন্যা নয়তো ঘূর্ণিঝড়। সরাসরি প্রভাব পড়েছে মোটামুটি ৫১০০০০ মানুষের উপর।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে দক্ষিণ ইতালিতে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা একটা রেকর্ড। অত্যাধিক গরমের প্রভাবে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে বৃষ্টিপাতের অভাবে প্রচণ্ড খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে এ বছরে। বাড়ছে দাবানলের দরুন ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটাও।