এক মিটারের কয়েক কোটি ভাগের একভাগ। এতখানি সূক্ষ্মভাবে কাটা তামার ন্যানোকণা অনুঘটক হিসেবে ব্যবহার করে কার্বন ডাইঅক্সাইড আর জলের মিশ্রণ থেকে তরল জ্বালানী আর দরকারি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করা সম্ভব। ইথিলিন, ইথানল কিংবা প্রোপানলের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।
গত সপ্তাহে নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হল এই গবেষণাপত্র। সৌজন্যে লরেন্স বার্কলে ন্যাশানাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা। বার্কলে গবেষণাগারের মেটিরিয়াল সায়েন্স এবং কেমিক্যাল সায়েন্সের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী পেডং ইয়াং স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত। তাঁর ভাষায়, কয়েক দশকের নিরলস গবেষণার পর আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি কার্বন ডাইঅক্সাইড বিজারিত করতে তড়িৎ-অনুঘটক হিসেবে তামা কতটা উপযোগী। আরও একধাপ এগিয়ে উনি প্রস্তাব দিচ্ছেন কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার। যাতে করে সহজেই অভিনব সৌর জ্বালানী উৎপাদন করা যায়। আর বাতাসের বাড়তি কার্বন দূষণ অনেকটাই কমাতে সক্ষম হবে যদি এই পদ্ধতি বাণিজ্যিক রূপ নেয়।
কাজটা সম্ভব হয়েছে দুটো অত্যাধুনিক যন্ত্রের যৌথ প্রয়োগে। এক, অপারেন্ডো ফোর-ডি আর দুই, একটা ছোট এক্সরে মেশিন। তরলের মধ্যে তামার ন্যানোপার্টিকেল কেমন আচরণ করে সেটা বুঝতেই এই ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাথে এক্সরে-র সুবিধে যোগ করা হয়েছিল। মুখ্য গবেষক ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট-ডক্টরেট ছাত্র ইয়াও ইয়াং।