পপুলেশন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (PHRI)-এর ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি এবং হ্যামিল্টন হেলথ সায়েন্সের গবেষকদের নেতৃত্বে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ছটি খাবার একত্রে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়ার ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) বা হার্টের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। গবেষকদের মতে ফলমূল, শাকসবজি, লেবু, বাদাম, মাছ এবং ক্রিমযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ সিভিডি-র ঝুঁকি কমে যায়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে স্বাস্থ্যকর বা পুষ্টিকর খাবার বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে, যেমন গোটা শস্য মাঝারি পরিমাণে খাওয়া বা প্রক্রিয়াজাত নয় এমন মাংস খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। আগেও পশ্চিমের দেশ নিয়ে অনুরূপ গবেষণা হয়েছে যেখানে ক্ষতিকারক, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার একসাথে খাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে ২০১৯ সালে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ হার্টের রোগে মারা গেছে, যা বিশ্বব্যাপী হওয়া মৃত্যুর ৩২% এবং এর মধ্যে, ৮৫% হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণে মারা গেছে। PHRI-এর গবেষক তাদের একাধিক গবেষণা থেকে ৮০ টি দেশের ২৪৫,০০০ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। গত ৬ জুলাই ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে তার ফলাফল প্রকাশিত হয়। অ্যান্ড্রু মেন্টে, পিএইচআরআই-এর বিজ্ঞানীর মতানুসারে সাম্প্রতিককালে রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিরক্ষামূলক খাবারের উপর বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষকরা দেখিয়েছেন প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম এবং লেবু ছাড়া প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন যে মাঝারি পরিমাণে মাছ এবং ক্রিমযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ফলে হার্টের রোগ বা সিভিডি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়।পরিমিত পরিমাণে শস্য এবং মাংস খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে গোটা শস্য ও প্রক্রিয়াজাত নয় এমন মাংস খেতে হবে।