শেষ হতে চলেছে হার্ড ডিস্ক, পেন ড্রাইভের যুগ! তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য এবার জৈব প্রক্রিয়ার প্রয়োগ করা হবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা স্টোরেজ সংরক্ষণের সমস্ত ইতিহাস, চরিত্রকে বদলে দিতে চলেছে। আর অর্ধপরিবাহী বা ম্যাগনেটিক রিল নয়, জৈব প্রক্রিয়ায় ডাটা সংরক্ষণ করা হবে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গবেষণা বিভাগের অধ্যাপকরা খাতায় কলমে সাফল্য পেয়েছেন এই স্টোরেজ ডিভাইস তৈরিতে। ডিএনএ-নির্মিত এই বিশেষ স্টোরেজ ডিভাইসের নাম দেওয়া হয়েছে মাইক্রোওয়েল।
অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, তথ্য সংরক্ষণের গোতা প্রক্রিয়াই দাঁড়িয়ে থাকে এক আর শূন্যের ওপর। হার্ড ডিস্ক, পেনড্রাইভ, ডিভিডি-সমস্ত যন্ত্রেই ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া বায়োনারি পদ্ধতির মাধ্যমে। ডিএনএ স্টোরেজের ক্ষেত্রেও গবেষকরা জানিয়েছেন একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে এখানে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের পরিবর্তে তথ্য সংগ্রহের ইউনিটগুলো ডিএন-এ-র অণুগুলি, মানে অ্যাডেনিন, সাইটোসিন, গুয়ানিন এবং থিয়ামিন। ডিএনএ-র এই চারটি আণবিক উপাদানই তথ্য সংগ্রহের ইউনিট। এখানে তাদের বলা হচ্ছে ‘বেস’। এভাবেই ডিএনএ-র শৃঙ্খলাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘মাইক্রোওয়েল’।
গবেষকরা আরও দেখেছেন, সাধারণ স্টোরেজের তুলনায় ডিএনএ স্টোরেজ ১০০ গুণ বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সেই তথ্য অক্ষতও থাকে অনেক বেশিদিন। নির্দিষ্ট মাত্রার উষ্ণতায় যদি তথ্যটি রাখা যায় তাহলে গবেষকরা বলছেন কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত ডিএনএ স্টোরেজ রাখা যাবে!