ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন -এর একটা সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিশুদের মস্তিষ্কে নিউরন সংযোগের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। Adolescent Brain Cognitive Development (ABCD) স্টাডি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শিশু স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় দীর্ঘকালীন গবেষণা। তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটারের একটা বড়ো ভূমিকা আছে। এই গবেষণাতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ও পারিবারিক দারিদ্র্য, এই দুটো বিষয়ের সঙ্গে শিশুর মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটারের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে পারিবারিক কোলাহল, দ্বন্দ্ব শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে প্রভাব ফেলে।
দারিদ্র্যের কারণে মস্তিষ্কের সাদা অঞ্চল বা হোয়াইট ম্যাটার চোখে দেখে যে স্থানিক ধারণা সৃষ্টি করে, অর্থাৎ কোনো বস্তুর অবস্থান, আকৃতি,মাপ, দূরত্ব, দিক এগুলোতে ঘাটতি থেকে যায়। দরিদ্র শিশুদের যেহেতু ইন্দ্রিয়জনিত দক্ষতা, সামাজিক, বৌদ্ধিক দিকের বিকাশের পরিসর সীমিত, তাই তাদের বৌদ্ধিক বিকাশজনিত পরীক্ষার ফলাফল নিম্ন মানের হয়ে থাকে।
এই গবেষণায় ৯-১১ বছর বয়সী ৮,৮৪২ জন শিশুর মস্তিষ্ক স্ক্যানের তথ্য নেওয়া হয়েছে। মস্তিষ্কে জল প্রবাহ কীভাবে ঘটছে তাকে এই গবেষণায় নির্ধারক হিসেবে নেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গেছে দারিদ্র্যে বসবাসকারী শিশুরদের মাথায় জল সঞ্চালন নির্দিষ্ট দিকে ঘটে না। এর সাথে দরিদ্র শিশুদের মস্তিষ্কের গোলার্ধ অঞ্চলে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা স্নায়ুর ওপর চাপ বাড়ায়। বর্তমানে এই গবেষণা খুব কম সময়ে একটা খণ্ডিত চিত্র তুলে ধরছে, ভবিষ্যতে শিশুদের ওপর দীর্ঘকাল এই গবেষণা চালিয়ে তাদের মস্তিষ্ক বিকাশের গতি প্রকৃতি ঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে।