লক্ষ কোটি বছর ধরে টিকে থাকার দৌড়ে সামিল রয়েছে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার দল। কোনটার রণসাজ কেমন, কোন অস্ত্রে জীবজন্তু বা মানুষকে ঘায়েল করতে পারে সেই নিয়ে প্রতিযোগিতার অন্ত নেই। সেই বিবর্তনের মুষ্টিযুদ্ধে একটা ভাইরাসের দানবীয় ল্যাজ তৈরি হয়ে গেল।
এই ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে উদরস্থ করে। তাই এটা একপ্রকারের ব্যাকটেরিওফাজ। কেতাবি নাম একটা আছে, P74-26। কিন্তু বিজ্ঞানীমহলে এই ভাইরাস ‘রাপুনজেল’ নামে বেশি পরিচিত। রূপকথার রাজকন্যার যেমন ইয়া বড়ো বিনুনি, তেমন এই পরজীবী ঘাতকের ঋজু পনিটেল। যা বাকি ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিওফাজের থেকে আলাদা করে রাপুনজেলকে।
ল্যাজের মতো ঐ উপাঙ্গের দৈর্ঘ্যই মোটামুটি এক মাইক্রোমিটার। অন্য যেকোনো ব্যাকটেরিওফাজের তুলনায় দশগুণ লম্বা। শুধু লম্বার দিক থেকেই নয়, সবচেয়ে সুস্থায়ীও বটে এই ল্যাজ। নতুন গবেষণা বলছে, এই সুদৃশ্য পনিটেল ফ্যাশানের জন্যে নয়। বরং পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তপোক্ত ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে তার কোষপর্দা ফুটো করে দেওয়াই এই উপাঙ্গের কাজ। ফুটন্ত উষ্ণ প্রস্রবণে ৭৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় এই ভাইরাস বেঁচে থাকে। থার্মাস থার্মোফিলাস নামের ব্যাক্টেরিয়ামকে সংক্রামিত করে রাপুনজেল টিকে থাকে আর বংশ বৃদ্ধির কাজটা চালিয়ে যায়।