রোজনামচায় কখনওসখনও অনেকেই মিথ্যার আশ্রয় নেয়, কিন্তু তা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। কিছু কিছু মিথ্যা অন্যের কোনোরকম ক্ষতি করে না। কোনো পরিস্থিতি এড়াতে কেউ কেউ মিথ্যা বলে। কেউ কেউ আবার অকারণেও অনেক সময় মিথ্যা বলে থাকেন। হাতেগোনা কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের মিথ্যা বলাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নিত্য জীবনের সঙ্গী করেই চলেন তারা মিথ্যাকে। কিন্তু আমাদের সকলের মধ্যে এক ধরনের স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে, অন্যদের মিথ্যা ধরার। কেউ মিথ্যা বলছেন কি না, তা বুঝতে পারলে এক অন্য রকম তৃপ্তি অনুভূত হয়। তবে সেটা খুব একটা সহজ নয়। আজ সেটাই করে দেখাবে কৃত্রিম মেধা। এমনটাই দাবি করছে এক নতুন গবেষণা। গবেষকরা কৃত্রিম মেধা (AI) সংক্রান্ত প্রোগ্রামকে আরও ভালোভাবে সহায়তা করতে একটি নতুন প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম তৈরি করেছেন। ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার সময় মানুষ অনেকসময় মিথ্যার আশ্রয় নেয় বিশেষ করে যখন কোনো ব্যক্তি জিনিস বন্ধক রাখে বা যখন সে বিমার টাকা দেয়। এই নতুন টুলটি এই সব প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত প্রোগ্রামগুলো বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয়, যেমন একজন ব্যক্তিকে বন্ধকের ক্ষেত্রে কতটা অর্থ দেওয়া যেতে পারে বা একজন ব্যক্তির বিমা প্রিমিয়াম কী হওয়া উচিৎ। এই প্রোগ্রামগুলো সাধারণত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের জন্য শুধুমাত্র পরিসংখ্যান দ্বারা চালিত গাণিতিক অ্যালগরিদম ব্যবহার করে৷ কিন্তু সমস্যা হল এই সব ক্ষেত্রে অনেক মানুষই মিথ্যার আশ্রয় নেয়, যাতে তারা বন্ধক দেওয়ার পরিবর্তে অর্থ পায় বা তাদের বিমা প্রিমিয়াম কমাতে পারে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে চিনতে প্রশিক্ষণ দেয় যেখানে একজন ব্যক্তি সুবিধা ভোগের জন্য মিথ্যা কথা বলতে পারে। প্রুফ-অফ-কনসেপ্ট সিমুলেশনে, এআই, ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ভুল তথ্য আরও ভালোভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম। ফলত তথ্য জমা দেওয়ার সময় ব্যবহারকারীর মিথ্যা সহজেই ধরা যায়। তবে, গবেষকদের মতে ছোটোখাটো মিথ্যা এখনও শনাক্ত করা কঠিন। গবেষকরা নতুন এআই প্রশিক্ষণের প্যারামিটার সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করছেন, যাতে এটি নিয়ে পরীক্ষা চালানো যায়। সুতরাং কৃত্রিম মেধা যথেষ্ট চতুর হয়ে উঠলে মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে দুবার ভাবতে হবে।