একটি স্পেস টেলিস্কোপ গামা রশ্মির জন্য আকাশ স্ক্যান করে শত শত নতুন শক্তিশালী মৃত তারা খুঁজে পেয়েছে। গামা-রে পালসারের ফার্মি ক্যাটালগে ২৯৪টি পূর্বে অজ্ঞাত তারা যোগ করার মানে হল যে গামা-রে পালসারের ফার্মি ক্যাটালগে বর্তমানে ৩৪০ টিরও বেশি তারা যুক্ত হল। যখন ফার্মি লার্জ এরিয়া টেলিস্কোপ ২০০৮ সালে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেছিল, তখন এই ধরনের ১০ টিরও কম পরিচিত পালসার ছিল। গামা-রে পালসারের সদ্য প্রকাশিত থার্ড ফার্মি লার্জ এরিয়া টেলিস্কোপ ক্যাটালগ হল তথ্যের একটি প্রকৃত ভান্ডার যা আমাদের এই রহস্যময় বস্তুগুলি বুঝতে সাহায্য করবে। পালসারগুলি মহাবিশ্বের নিউট্রন তারার একটি উপশ্রেণি, যেগুলি বিশাল নক্ষত্রের ভেঙে পড়া কোর কিন্তু একটি ব্ল্যাক হোলে ভেঙে পড়ার মতো যথেষ্ট বিশাল নয়। একটি সাধারণ নিউট্রন তারকা এবং একটি পালসারের মধ্যে পার্থক্য হল, স্পন্দন। পালসারগুলি তাদের মেরু থেকে শক্তিশালী বিকিরণের নির্গমন করে, যেমন মহাকাশে স্পটলাইট বিস্ফোরিত হয়। আর পালসাররা অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুতবেগে স্পিন করে বা ঘোরে। এটা এত দ্রুত হতে পারে যে ১০ মিলিসেকেন্ডে একটি ঘূর্ণন সম্পূর্ণ করতে পারে।
সবচেয়ে দ্রুত পরিচিত পালসার প্রতি সেকেন্ডে ৭১৬ বার ঘোরে। যখন পালসাররা ঘোরে, এদের রশ্মিগুলি যেন মহাজাগতিক বাতিঘরের মতো পৃথিবীকে পেরিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৪০০ টি পালসারের কথা জানা গেছে। তাদের বেশিরভাগের বিকিরণ রেডিও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে পড়ে। অল্প সংখ্যক পালসার মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিকিরণ, গামা রশ্মি নির্গমন করে। গামা-রে পালসারগুলি তাদের শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রে অত্যন্ত উচ্চ শক্তিতে কণাকে অতি দ্রুত গতিতে নির্গমন করে, ফলে শক্তিশালী, অদৃশ্য আলোর বিস্ফোরণ ঘটে।
নতুন ক্যাটালগ অনুসারে, পরিচিত পালসারগুলির প্রায় ১০ শতাংশ এখন গামা-রশ্মি নির্গতকারী। তবে আমাদের প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার জন্য এর বেশি আমরা এখনও বুঝতে পারিনি, কিন্তু রেডিও বিকিরণকারী পালসারের মধ্যে কেন কিছু পালসার গামারশ্মি নির্গমন করে তা বোঝার জন্য এই নমুনা উল্লেখযোগ্য। এই পালসারের অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে। পালসারগুলি প্রায়শই ঘূর্ণনের সময় অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট হয়, বিশেষ করে মিলিসেকেন্ড স্কেলে ঘূর্ণন হার সহ, যার মধ্যে ১৪৪টি পালসার ক্যাটালগে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অর্থ হল যে এগুলি স্পেস নেভিগেশনের মতো অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ মহাকাশ যাওয়ার নানা মিশন হচ্ছে। গামা রশ্মি পালসারের নতুন ক্যাটালগ দ্য অ্যাস্ট্রোফিসিক্যাল জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে।