দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বেশ জোরেই বয় সমুদ্রগামী বাতাস। আমেরিকার মধ্যে ধরলে সবচেয়ে শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ। তাই অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের সমূহ সম্ভাবনা আছে এখানে। কিন্তু সমস্যা আছে। সমুদ্রের তীরে বায়ুকল বসানো হয় অসম্ভব নয়তো অত্যাধিক খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ এইখানে মাটির প্রকৃতি দুর্বল আর আলগা।
সমাধান খুঁজে পাওয়া গেছে অবশেষে – সমুদ্রের উপর ভাসমান বায়ুকল। পৃথিবীর নানা জায়গায় পরীক্ষাও করা হয়েছে এই প্রযুক্তি।
ক্যালিফোর্নিয়াতে খরার কারণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের হাল খুব ভাল নয়। চাপ বাড়ছে। তাই ঐ প্রদেশের প্রশাসন এবার ভাসমান বায়ুকল তৈরি করে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রশাসন গত ৭ই মার্চ পাঁচটা লিজ অঞ্চল নিলামে তুলেছিল। ঐ জায়গাগুলোতে বিভিন্ন সংস্থা ফ্লোটিং উইন্ডমিল প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে পারবে। আটলান্টিক উপকূলের তুলনায় এখানে খরচ কম হবে।
ভাসমান টারবাইন অন্য সাধারণ টারবাইনের মতোই কাজ করে। বাতাসের ধাক্কায় ব্লেডের উপর চাপ পড়ে, সেখান থেকে রটর ঘুরতে শুরু করে। ঐ ঘুরতে থাকা রটরের সাথে যুক্ত জেনারেটর থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি হয়। কিন্তু সাধারণ বায়ুকলের ক্ষেত্রে টাওয়ারটা যেমন মাটিতে পোঁতা থাকে, ভাসমান বায়ুকল একটা প্লাটফর্ম চেন বা দড়ির মতো কোনও নোঙরের সাথে যুক্ত থাকে যা আবার সরাসরি যায় সমুদ্রের তলদেশে।