এখন আকাশে যত তারা দেখা যায়, তাদের মধ্যে সবকটাই যে বেঁচে আছে এমন নয়। মহাবিশ্বের সৃষ্টির প্রথম লগ্নে যেসব নক্ষত্র ছিল তারা আজ মৃত। কিন্তু মৃতদেহের চিহ্ন গেল কোথায়? উত্তর লুকিয়ে আছে গ্যাসের মেঘের মধ্যে। এই গ্যাসীয় মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে, কয়েক লক্ষ কোটি বছর ধরে।
আমাদের কাছে এমন যন্ত্র নেই যা দিয়ে সেইসব প্রাচীন নক্ষত্রের খবরাখবর জানা যায়। ক্রমশ গরম হতে হতে সেই নক্ষত্ররা একদিন বিস্ফোরণে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের কেন্দ্রকে যেসব পদার্থ ছিল তারা তো আর নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। সেইসব গঠনগত উপাদান সঞ্চিত হয়ে রয়েছে ওই সঞ্চারমান মেঘের মধ্যে।
প্যারিস অবজারভেটরির মহাকাশবিজ্ঞানী আন্দ্রেয়া সাকার্ডি বলছেন, এই প্রথম আমরা রাসায়নিক প্রমাণ পেলাম। সেইসব প্রাচীন নক্ষত্রের বিস্ফোরণে যেসব পদার্থ বেরিয়ে এসেছিল তাদের উপস্থিতি রয়ে গিয়েছে গ্যাসের মেঘের ভিতর।
যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে তখন মহাবিশ্ব ছিল সম্পূর্ণ অন্ধকারে। আজ থেকে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগেকার কথা। না ছিল গ্রহ, না ছিল ছায়াপথ। কেবল উষ্ণ আয়নে পরিপূর্ণ গ্যাসের স্রোত বয়ে যেত। তার ভেতর দিয়ে আলো অবধি চলাচল করার সুযোগ পেত না।