গবেষকরা ব্রণর সমস্যা দূর করার জন্য কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা করছেন। অ্যাকনে একটি রোগ, এবং ব্রণ হল এর প্রধান লক্ষণ। অতিরিক্ত সিবাম, মৃত ত্বকের কোশ এবং দূষণের কারণে ত্বকের ছিদ্র আটকে গেলে ব্রণ হয়। ব্রণ কিশোর বয়সে বা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও ঘটতে পারে আবার যেকোনো ধরনের ত্বকেই ব্রণ হতে পারে। কিন্তু ব্রণ দেখতে শুধু খারাপ লাগে বা কষ্টকর তা নয়, এটা যেকোন মানুষের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিতে পারে। এখন গবেষণায় বলা হচ্ছে যে ব্যাকটেরিয়া ব্রণ সৃষ্টি করে, সেই ব্যাকটেরিয়া কাজে লাগিয়েই মুখের ব্রণ পরিষ্কার করা যেতে পারে। কিউটিব্যাক্টেরিয়াম অ্যাকনেস আমাদের ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। গবেষকরা এর জিন পরিবর্তন করতে সফল হয়েছেন যাতে একটি অণু তৈরি করেছেন, যা নিঃসৃত হয়ে কোশের ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে সিবাম হ্রাস করে। তৈলাক্ত সিবাম ত্বকের মৃত কোশগুলিকে আঠালো করে দেয় আর অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপাদিত হলে রোমকূপের ছিদ্রগুলোকে আটকে দেয়, যার ফলে ব্রণ হয়। সিবামের ওপর সংখ্যায় বেড়ে এই ব্যাকটেরিয়া ব্রণের প্রদাহ, ফোলা, ব্যথা ঘটায়। কিন্তু মজার বিষয় হল এই ব্যাকটেরিয়া সুস্থ ত্বকের জন্যও জরুরি, এরা অত্যাবশ্যক লিপিড তৈরি করে যা আমাদের ত্বকের বাইরে প্রতিরক্ষামূলক বাধা সৃষ্টি করে। এটি লোমকূপের গভীরে অবস্থান করে, কার্যত যেখানে সিবাম নির্গত হয়। বার্সেলোনার পম্পিউ ফ্যাব্রা ইউনিভার্সিটির সিন্থেটিক বায়োলজিস্ট নাস্তাসিয়া নডলসেডার এবং সহকর্মীরা ভেবেছিলেন সি. অ্যাকেনস ব্যাকটেরিয়া পরিবর্তন করে ব্রণ চিকিত্সার জন্য একটি টপিকাল থেরাপি তৈরি করবেন। ব্রণের বর্তমান চিকিত্সায় অ্যান্টিবায়োটিক অনেক ক্ষেত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে, বিরল হলেও এর খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। কিন্তু গবেষকরা আইসোট্রেটিনোইন- এর কার্যপ্রণালী অনুসরণ করেন যা এনজিএএল (নিউট্রোফিল জেলটিনেস অ্যাসোসিয়েটেড লাইপোক্যালিন (এনজিএএল) হল লাইপোক্যালিনের অন্তর্গত একটি প্রোটিন যা প্রাথমিকভাবে সক্রিয় নিউট্রোফিলে পাওয়া যায়, এর সহজাত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ফ্যাক্টর হিসাবে ভূমিকা আছে) নামক একটি প্রোটিনকে এনকোড করে একটা জিন চালু করে যা সেবোসাইট নামক তেল-উৎপাদনকারী টিস্যুকে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।