জলের বোতল কিনে জল খাওয়া এখন একটা সাধারণ শহুরে রেওয়াজ। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতলে থাকা জল একঢোঁক খেলেই যদি কিছুটা মাইক্রোপ্লাস্টিকও সাথে সাথে পেটে চলে যায়? এটা শুনে তেষ্টাও হয়তো ভয়ে পালাবে। অর্থাৎ, বোতলবন্দি পানীয় জল মোটেই নিরাপদ নয়। সাবধান করছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট মাপের প্লাস্টিকের টুকরোকে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। সাধারণ প্লাস্টিকের মতোই, এগুলো সহজে বিয়োজিত হয়ে নষ্ট হয় না। আমাদের শরীরের ভেতর দিনে দিনে জমতে থাকে। এই বিষয়টাকে আবার ‘বায়োঅ্যাকুমুলেশন’ বলা হয়। কিন্তু ভয়ের কথা হচ্ছে, প্লাস্টিক তৈরিতে এমন কিছু ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ লাগে যা আমাদের শরীরে একাধিক জটিল ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, মানুষের মলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের নমুনা মিলেছে। অর্থাৎ, রোজকার জীবনে মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিপদ একটা মাত্রাছাড়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। খাদ্যশৃঙ্খলে ধুকে পড়ছে এই অণুবিষ।
সারা পৃথিবী জুড়েই বোতলের জলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এক মিলিমিটারের কম মাপের এই প্লাস্টিকের টুকরো বোতলের প্লাস্টিক থেকেই আসে। বিশেষ করে, বোতলের ছিপি বা গলার জায়গাটা থেকে। সাধারণ মানুষের চোখে এগুলো পড়ে না। কারন মাইক্রোপ্লাস্টিক এক্ষেত্রে স্বচ্ছ হয়। সবচেয়ে বেশি মিলেছে প্লাস্টিকের যে পলিমারটা সেটা হল পলিইথিলিন টেরেপথ্যালেট।
একেবারে কনক্রিট কোনও প্রমাণ এখনও নেই যদিও, কিন্তু বিজ্ঞানীদের স্পষ্ট ধারনা যে দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ক্ষতিই করবে মাইক্রোপ্লাস্টিক।