এক সংখ্যাটা যথেষ্ট নয়, বরং ৪৭টা নেওয়া হোক। ঠিক এমনটাই ভাবছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটা বড়ো দল। প্যানজিনোম প্রকল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন এনারা। বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর জিনোমের সংগ্রহ। সেটা তৈরির জন্যেই আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত ৪৭ জন মানুষের জিনোম নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মানবসমাজের উৎপত্তি আর বিস্তার আরও ভালোভাবে বুঝতে দরকার পড়বে প্যানজিনোম।
মানুষের জেনেটিক কোডের বৈচিত্র্য কতটা সেটা বুঝতে প্যানজিনোম একটা বড়ো পদক্ষেপ। এমনটাই মনে করছেন জিন-বিশারদরা। জিনতাত্ত্বিক মাইকেল গ্যাবেট বলছেন, নর্মাল জিন বলে কোনও বিষয় নেই। এমনিতেই মানুষ এক আশ্চর্য বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণী। প্রত্যেক ব্যক্তির জিন প্রকরণের সংকলন আলাদা আলাদা।
২০০০ সাল নাগাদ পথচলা শুরু হয় ‘হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট’-এর। তখনই প্রথম মানব জিনোম ম্যাপ করা হয়েছিল। সেই প্রথম জিনোম সংগ্রহ করতে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়। সেটা কোনও একজন ব্যক্তির জিনোম নয়, বরং অনেক জিনোম একসাথে মিশ্রণের আকারে নেওয়া হয়।