সম্প্রতি বেশ কয়েক সপ্তাহ যাবৎ বিধ্বংসী দাবানল গ্রিস, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া এবং কানাডায় ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে মানুষের প্রাণহানির সাথে সাথে ব্যাপকভাবে পরিবেশ ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। যদিও দাবানল বাস্তুতন্ত্রের একটি প্রাকৃতিক অংশ তবুও বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে দাবানল আগের চেয়ে আরও ঘন ঘন হচ্ছে এবং আরও ব্যাপক হয়ে উঠছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)- এর ওয়ার্ল্ড ফায়ার অ্যাটলাসের একটি উন্নত সংস্করণ এখন বিশ্বজুড়ে দাবানলের বিশদ বিশ্লেষণের জন্য পাওয়া যায়।
বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং চরম আবহাওয়ার ফলস্বরূপ দাবানলের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আগুনের লেলিহান শিখা গাছপালা এবং বনভূমির বিস্তীর্ণ এলাকাকে দ্রুত গ্রাস করছে। গ্রিস এবং ইতালির মতো দেশগুলো ইতিমধ্যে দাবানলের বিধ্বংসী প্রভাব অনুভব করেছে। ইউরোপিয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেম (EFFIS) অনুযায়ী ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন জুড়ে ২,৩৪,৫১৬ হেক্টরেরও বেশি জমি ইতিমধ্যেই এই বছরেই পুড়ে গেছে। এই দাবানল দ্বারা সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবেলায় জরুরী মনোযোগ এবং কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। (ESA)- এর ওয়ার্ল্ড ফায়ার অ্যাটলাসের ইন্টারেক্টিভ ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা, দেশগুলোর মধ্যে আগুনের পুনরাবৃত্তির ধরন তুলনা করতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে আগুনের বিবর্তনও বিশ্লেষণ করতে পারে। ড্যাশবোর্ডটি কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-3এ স্যাটেলাইটে থাকা সি অ্যান্ড ল্যান্ড সার্ফেস রেডিওমিটার (SLSTR) থেকে রাতের সময়কার তথ্য ব্যবহার করে। সেন্সরটি আকাশে একটা থার্মোমিটারের মতো কাজ করে এবং ভূমি পৃষ্ঠের তাপমাত্রার জন্য থার্মাল ইনফ্রারেড বিকিরণ পরিমাপ করে যা আবার আগুন সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ESA-এর অলিভিয়ের আরিনো বলেছেন যে ওয়ার্ল্ড ফায়ার অ্যাটলাস পুনরায় চালু করার ফলে কর্তৃপক্ষ, গবেষক এবং অন্যান্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে আরও ওয়াকিবহাল থাকবে৷ এই সম্পদ ব্যবহার করে, তারা বিশ্বব্যাপী অগ্নি প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আরও কার্যকর কৌশল তৈরি করতে পারবেন।