কয়েক বছর আগেকার কথা। বার্ড ফ্লু-র নাম তখন জনমানসে ছড়িয়ে পড়েছে। সাথে সাথে কুসংস্কার, কালোবাজারি আর অবৈজ্ঞানিক ভয় তো ছিলই। তারপর থেকে অনেকদিনই পাখিদের এই মড়ক নিয়ে নতুন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার স্তন্যপায়ীদের মধ্যেও বার্ড ফ্লু-র প্রাদুর্ভাব নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মানুষের মধ্যেও যে এই রোগ মহামারির আকার নেবে, তেমন ভয়টা এখুনি নেই। তেমনটাই বিজ্ঞানীদের ধারনা। কিন্তু গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে কড়া নজরদারির কথা ঘোষণা করা হল।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সংস্থার প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেইসাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, পাখি থেকে স্তন্যপায়ীদের সংক্রামিত হওয়ার দিকটা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা দরকার। উনি আরও জানালেন, এই মুহূর্তে মানুষের জন্য কোনও বিপদের ইঙ্গিত নেই।
অনেক বছর বার্ড ফ্লু-র মড়ক বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের শেষদিকে ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ আকারে ফিরে এসেছে এই রোগ। গোটা বিশ্বের দশ মিলিয়নের বেশি পোলট্রি খামার নষ্ট করতে হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইচ১এন১ ভাইরাস মড়কের জন্যে দায়ী। সাথে সাথে হাজার হাজার বন্য পাখিরও মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাস-ঘটিত রোগে।
কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সেটা বিজ্ঞানীদের কাছে অচেনা। বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হচ্ছে শেয়াল, ভল্লুক, বেঁজি, উদবিড়ালের মতো প্রাণীও। টেড্রোস উল্লেখ করেছেন, ভাইরাসটা প্রথম সামনে আসে ১৯৯৬ সালে। কিন্তু মানুষের শরীরকে আক্রান্ত করার ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু তবুও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন। বিশেষত সেইসব এলাকার ক্ষেত্রে যেখানে মনুষ্য বসতি আর পশু খামারগুলো পাশাপাশিই থাকে।