তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনার স্মৃতি সহজে মোছে না। বিপদের প্রাথমিক বাড়াবাড়িটা কেটে গেলেও তেজস্ক্রিয় কর্মকাণ্ডের ছিটেফোঁটা থেকেই যায়। চিহ্ন হিসেবে, প্রমাণ হিসেবে, এমনকি ভবিষ্যতের নিরাপত্তা হিসেবেও। জাপানের ফুকুশিমার দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর পাঁচটা বছর কেটে গেলেও এখনও ওই এলাকার বাড়িগুলোর দেওয়ালে পাওয়া যাচ্ছে তেজস্ক্রিয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। কেমোস্ফিয়ার পত্রিকার সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানাচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটা পরিত্যক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরই দেওয়ালে সিজিয়াম-ঘটিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই কণা আকারে ৫ মাইক্রোমিটার বা তার চেয়ে কম। এই অতিতেজস্ক্রিয় কণা শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে আর রক্ষে নেই। প্রাণসংশয় অবধি হতে পারে। সিজিয়াম-ঘটিত মাইক্রোপ্লাস্টিক জলে দ্রবীভূত হয় না। অর্থাৎ, মানুষ কিংবা অন্য প্রাণীর দেহে আর পরিবেশে এই কণা বহুদিন টিকে থাকতে পারে।
জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাতোশি উতসুনোমিয়া বলছেন, এত ছোট মাপের বলেই এই তেজস্ক্রিয় কণা ফুসফুসের গভীরতম অংশে প্রবেশ করতে পারে।