আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের আশায় মাছ, মাংসের বিকল্প খাবার খুঁজে চলেছি। আর এই নতুন গবেষণা প্রোটিনের একটি আশ্চর্যজনক পরিবেশ বান্ধব উৎস খুঁজে পেয়েছে – শৈবাল বা শেওলা। এক্সেটার ইউনিভার্সিটির সমীক্ষাটি দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং এটিই প্রথম প্রমাণ করে যে দুটি বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ প্রোটিন সমৃদ্ধ অ্যালগাল প্রজাতি খাবার হিসেবে খেলে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পেশি পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে। তাদের এই গবেষণা থেকে জানা যায় যে শেত্তলা পেশি রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাণী থেকে প্রাপ্ত প্রোটিনের একটি আকর্ষণীয় এবং শক্তিপ্রদানকারী বিকল্প হতে পারে। এক্সেটার ইউনিভার্সিটির গবেষক ইনো ভ্যান ডের হেইজডেনের মতানুসারে বর্তমানে নৈতিক এবং পরিবেশগত কারণে আরও বেশি সংখ্যক ব্যক্তি প্রাণীজ খাবার বা মাংস কম খাওয়ার চেষ্টা করছেন সাথে সাথে তাদের আগ্রহ বাড়ছে উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে। গবেষকদের মতে এই বিকল্পের অনুসন্ধান শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় এবং তারা শৈবালকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্রোটিন উত্স হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রোটিন এবং এসেন্সিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার পেশি প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা পরীক্ষাগারে পরিমাপ করা যেতে পারে। প্রাণী থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন উত্স দৃঢ়ভাবে বিশ্রাম এবং ব্যায়াম-পরবর্তী পেশি প্রোটিন সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করে।
যেহেতু প্রাণীজ উৎস থেকে প্রোটিন উত্পাদন নৈতিক এবং পরিবেশগত উদ্বেগের সাথে যুক্ত, তাই গবেষকরা এর বিকল্প হিসেবে শেওলাকে বেছে নিয়েছেন। নিয়ন্ত্রিত অবস্থার অধীনে চাষ করা, দুটি শৈবাল- স্পিরুলিনা এবং ক্লোরেলাতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের উচ্চ মাত্রা রয়েছে এবং দুটি প্রোটিন সমৃদ্ধ। কিন্তু, মানুষের মধ্যে মায়োফাইব্রিলার প্রোটিন সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করার জন্য স্পিরুলিনা এবং ক্লোরেলার ক্ষমতা গবেষকদের কাছে অজানা ছিল। ফলত, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের গবেষকরা স্পিরুলিনা এবং ক্লোরেলা খাওয়ার প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন, ছত্রাক থেকে প্রাপ্ত মাইকোপ্রোটিন সেবনের ফলে রক্তে অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘনত্বের সাথে তুলনা করেছেন, এবং বিশ্রাম এবং ব্যায়ামের পরে মায়োফাইব্রিলার প্রোটিন সংশ্লেষণ হারের সাথেও তুলনা করেছেন। এই অধ্যয়নের মাধ্যমে তারা প্রথম প্রমাণ করেন যে স্পিরুলিনা বা ক্লোরেলা গ্রহণের ফলে পেশির কলাতে মায়োফাইব্রিলার প্রোটিন সংশ্লেষণ উদ্দীপিত হয়।