আজ থেকে মোটামুটি ২০০০ বছর আগেকার কথা। ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে রোমান শহর পম্পেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। জ্যান্ত অবস্থায় সমাধিস্থ হয়েছিলেন ওই শহরের জনগণ। ভস্মের ভেতর তাদের কোনও চিহ্নই আর কোনদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু কাছাকাছি আরেকটা শহর হারকুলেনিয়ামও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
সম্প্রতি ইতালির রোমা ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় আর নাপেলসে দ্বিতীয় ফেডেরিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিকরা কার্বন সমৃদ্ধ কাঠের নমুনা থেকে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে নতুনতর প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের অনুমান, অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে বীভৎস গরম আবহে নাগরিকদের দেহ বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছিল। গ্যাস আর লাভার প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ঠিক কতটা তাপ সৃষ্টি হতে পারে তার ধারণা কমবেশি সবারই রয়েছে।
যদিও ২০১৮ সাল নাগাদ প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রথম কোনও যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ পেশ করেছিলেন হারকুলেনিয়ামের মৃত ইতিহাস নিয়ে। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের তীব্র উষ্ণতায় নাগরিকদের দেহের নরম কোষকলা আর রক্ত আক্ষরিক অর্থেই টগবগ করে ফুটছিল। তাতেই তাদের মাথার খুলি ফেটে যায়।
আরেক আশ্চর্যজনক প্রমাণ মিলেছিল ২০২০ সালে। সেক্ষেত্রেও কৃতিত্বটা প্রত্নতাত্ত্বিকদের। ওই অঞ্চল থেকে সেবার আরেকটা মাথার খুলি আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু তার মধ্যে ছিল কাচের টুকরো। গবেষকদের ধারণা ছিল অগ্ন্যুৎপাতের মধ্যে লাভার ভেতর ওই খুলি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণভাবেই কাচে পরিণত হয়েছে।