অনেক দূর বেড়াতে গেলে অজানা জায়গায় জিপিএস প্রায় অপরিহার্য। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় নিজের এলাকায় যদি জিপিএস থেকে যান্ত্রিক কণ্ঠে নির্দেশ আসে, তাহলে বিরক্তই হই আমরা। এ তো হল পৃথিবীর উন্নততম প্রাণীর কথা। কিন্তু পাখিরা? বিশেষ করে পরিযায়ী পাখি?
পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের তীব্রতা আন্দাজ করতে পারে এইসব দূরদেশে পাড়ি জমানো পরিযায়ী পাখিরা। কানাডার ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় আর আমেরিকার বোলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে পাখিদের মগজের ভেতর থাকা ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা সামনে এসেছে। তারাও নাকি স্নায়বিক ন্যাভিগেশনের সুবিধে বন্ধ করে দেয় প্রয়োজন না থাকলে।
গবেষকরা সাদা-গলা চড়াই পাখিদের নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। এদের ল্যাটিন নাম জোনোট্রিশিয়া অ্যালবিকলিস। দেখা গেছে এদের মস্তিষ্কের একটা বিশেষ অংশ সক্রিয় হয় যখন তারা এক দেশ থেকে অনেক দূরের কোনও দেশে যাত্রা করে। আবার, যেখানে যেখানে তারা বিশ্রাম বা খাবারের জন্য থামে, তখন তাদের মস্তিষ্কের এই অংশ কাজ করা থামিয়ে দেয়।
পাখিদের দিকনির্ণয়ের জন্য তাদের মগজে ‘ক্লাস্টার এন’ নামের এক বিশেষ অঞ্চল থাকে। এটা বিজ্ঞানীরা আগেই প্রমাণ করেছেন। ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ম্যাডেলিন ব্রডব্রুক বলছেন, পরিযায়ী পাখিদের মস্তিষ্কে জিওম্যাগনেটিক কম্পাসের মতো কার্যক্ষম একটা অংশ আছে। মজার ব্যাপার প্রয়োজনমতো সেটা তারা চালু বা বন্ধ করতে পারে।