ছিল রঙবেরঙের প্লাস্টিক, হয়ে গেল কালো রঙের শক্তপোক্ত ইট। তরুণ মিশরীয়দের এই উদ্যোগ দেখে তারিফ করছে গোটা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা।
মিশর দেশটা বহুদিন ধরেই প্লাস্টিক বর্জ্যের অত্যাচারে নাজেহাল। জাঙ্ক ফুডের মোড়ক, জলের বোতল, ক্যারিব্যাগ ইত্যাদি হরেক রকমের প্লাস্টিক বর্জ্য শেষমেশ নীলনদের জলেই মিশছিল। আর কে না জানে মিশরের সমৃদ্ধির একমাত্র সূত্র ঐ ইতিহাসবিশ্রুত নীলনদ।
সমস্যার সমধান এগিয়ে এসেছিল একদল যুবক যুবতি। কায়রো শহরের কাছেই তাদের স্টার্টআপ সংস্থা ‘টাইল-গ্রিন’। মেশিন আর যন্ত্রপাতির ঘড়ঘড়ে আওয়াজের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য চোখের নিমেষে ঘন তরলে পরিণত হচ্ছে। তারপর সমস্ত রকমের প্লাস্টিক থেকে উৎপাদিত সেই গাদ তরল থেকে কালো, শক্ত ইট তৈরি হচ্ছে একই ছাউনির নিচে। হাঁটাচলার রাস্তা নির্মাণে কাজেও লাগছে সেইসব ইট।
আরব দুনিয়ার সবচেয়ে জলবহুল দেশ মিশর। সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী মধ্য প্রাচ্য আর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্লাস্টিক দূষণ ঘটে মিশরেই। কিন্তু সেই অপবাদ দূর করতে বদ্ধপরিকর বছর চব্বিশের খালিদ রাফাত। টাইল-গ্রিন সংস্থার এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানাচ্ছেন, কনক্রিটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী এই ইট। অন্য এক অংশীদার আমির শালান বললেন, একটা ইট মানে নীলনদ থেকে সরিয়ে ফেলা ১২৫টা প্লাস্টিক ব্যাগ।