আলোর বেগের কাছাকাছি গতি নিয়েই মহাবিশ্বের সব কোনায় ছুটতে থাকে এই ছোট ভরহীন কণা। এই কণার নাম নিউট্রিনো। কিন্তু নিউট্রিনো ধরতে বা শনাক্ত করতে মহাকাশবিজ্ঞানীরা কী করেন? নিউট্রিনো অনুসন্ধানের কাজটা যদিও আরম্ভ হয়েছিল ১৯৫০ সাল নাগাদ।
পৃথিবীর নির্বাচিত কয়েকটা জায়গায় নিউট্রিনো ডিটেক্টর রয়েছে। তাদের মধ্যে একটা হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ‘আইসকিউব’। দক্ষিণ মেরুতে এক ঘন কিলোমিটার বরফের স্তরকে নিউট্রিনো সংগ্রাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভূমধ্যসাগরের অনেক গভীরে আছে আরেকটা ডিটেক্টর। KM3Net নাম সেটার।
এবার চীনদেশের বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের গভীরে এমনই আর একটা নিউট্রিনো টেলিস্কোপ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এই সময়ের সবচেয়ে উন্নত আর জটিল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে এখানে।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের প্রধান গবেষক চেন মিংজুন বলছেন, এটাই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নিউট্রিনো অবজারভেটরি হতে চলেছে। আয়তনে ৩০ ঘন কিলোমিটার! ৫৫০০০ অপটিক্যাল মডিউল একসাথে জুড়ে তৈরি হবে এই মহাযন্ত্র। ২৩০০টা উপযুক্ত তারের সাহায্যে গোটা ব্যবস্থাটা ঝুলন্ত অবস্থায় কাজ করবে।