অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্রমশ বাড়ছে। সমস্যার মোকাবিলায় রাতের ঘুম উড়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের। এমন সময় আশার আলো দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ঐ দেশে নতুন এক অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে সম্প্রতি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ে সসম্মানে উত্তীর্ণ হল নবআবিষ্কৃত এই ওষুধ।
QPX9003, নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের নাম। মূলত গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার মোকাবিলায় কাজে লাগানো যাবে এটা। নিউমোনিয়া, মূত্রনালিতে সংক্রমণ, পেরিটোনাইটিস, মেনিনজাইটিসের মতো জটিল সমস্যার প্রতিরোধে সঞ্জীবনী হয়ে উঠতে পারে এই অ্যান্টিবায়োটিক। এইসব গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দিনেদিনে জেদি হয়ে উঠছে। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকে আর সারানো যাচ্ছে না রোগব্যাধি।
QPX9003-র ক্ষেত্রে একক ৪০০ মিলিগ্রাম ডোজ আর যৌথ ৬০০ মিলিগ্রাম ডোজ উভয়ের নিদানই দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন যেকোনো একটা ডোজ খেতে হবে দু সপ্তাহ ধরে টানা। কোনও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই।
মোনাশ’স বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইন্সটিটিউটের কেমিস্ট্রি টিম লিডার ডঃ কেড রবার্টস বলছেন, নিরাপত্তা আর সহনশীলতার দিক দিয়ে নতুন এই অ্যান্টিবায়োটিকের জুড়ি মেলা ভার। ওষুধ-প্রতিরোধী জেদি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে রোগীদের দেহে ভালোই কার্যকর হতে চলেছে এটা। মোনাশের এই সংস্থাই নতুন QPX9003 ওষুধটা আবিষ্কার করেছে।
যদিও অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের রাস্তাটা সহজ বা কম সময়ের ছিল না। প্রায় এক দশকের নিরলস পরিশ্রমের পর এই ওষুধ প্রস্তুত হল। একাধিক উৎস থেকে অনুদান এসেছিল। অস্ট্রেলিয়া আর অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য গবেষণা মন্ত্রকের তরফ থেকে অনুদান পেয়েছে মোনাশের সংস্থা।