প্রায় ২৬০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত Sagittarius A* আমাদের সবচেয়ে কাছের এক সুবৃহৎ ব্ল্যাক হোল। ১৯৯০-এর দশকে আবিষ্কৃত এই ব্ল্যাক হোল প্রথম থেকেই ছিল শান্ত ও নিষ্প্রভ । বহু বছর ধরেই Sagittarius A* ছিল স্থির, অনুজ্জ্বল। কিন্তু প্রায় ২০০ বছর আগে, হঠাৎই পৃথিবী থেকে দেখা যায় ব্ল্যাক হোলটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ২১-এ জুন নেচার পত্রিকায় গবেষকরা বলেছেন হয়তো এক্স-রে-র কারণে হঠাৎ এই জ্বলে ওঠা। ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক মারিনের মতে এই ব্ল্যাক হোল সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। আর যদি ব্ল্যাক হোল তার আশেপাশের গ্যাস এবং ধূলিকণা থেকে উপাদান সংগ্রহ করে থাকে, তবে তার হার এতটাই কম যে তা পর্যবেক্ষণ করা কঠিন (SN: 5/12/22) ।
প্রায় ৩০ বছর আগে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশগঙ্গার কেন্দ্রে উচ্চ তাপমাত্রার এক বিশাল গ্যাসের মেঘ সনাক্ত করেছিলেন যা থেকে উজ্জ্বল এক্স-রে নির্গত হচ্ছিল । তারা ব্যাখ্যা করেছিলেন যে কখনো, Sagittarius A* মহাকাশে হয়তো কিছু মহাজাগতিক উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এক্স-রে পালস নিক্ষেপ করেছিল এবং মেঘপুঞ্জে তার আভা রেকর্ড হয়েছিল (SN: 4/24/08)। মেরিন এবং সহকর্মীরা এক্স-রে-র মেরুকরণ বা দিক পরিমাপ করতে নাসার ইমেজিং এক্স-রে পোলারিমেট্রি এক্সপ্লোরার স্যাটেলাইট ব্যবহার করেছিলেন। তারা দেখেন নির্গমনের উত্স সরাসরি ব্ল্যাক হোলের দিকেই নির্দেশ দিচ্ছে।এর থেকে আরো বোঝা যায় যে ব্ল্যাক হোলটি হঠাৎ করে এখনকার তুলনায় লক্ষ লক্ষ গুণ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রায়শই এই ঘটনাটি ঘটে কিনা তা আজও অজানা।যেমন অজানা Sagittarius A* -র জ্বলে ওঠার কারণ। হতে পারে যে এক সুবৃহৎ আণবিক মেঘ ধীরে ধীরে সংগৃহীত হয়েছিল, অথবা একটা খুব বড়ো তারা তার পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল এবং একযোগে যুক্ত হয়েছিল।