বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষকরা এক উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। পূর্ববর্তী তিন দশকের বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে ৫০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯৯০-এর দশক থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে ক্যান্সার বেড়েছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেঞ্জামিন কোহ এবং তার সহকর্মীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর করা এক গবেষণায় দেখেন যে একই অঙ্গের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কম বয়সী ব্যক্তি ও বয়স্কদের মধ্যে ক্যান্সারের ধরন আলাদা আর তাই চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও এই পার্থক্যের প্রভাব পড়তে পারে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং বুঝতে হবে কোন ক্যান্সারগ কাকে এবং কীভাবে প্রভাবিত করছে৷ বিজ্ঞানীদের মতে তরুণ প্রজন্মে ক্যান্সারের ক্রমবর্ধমান হার বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন খাদ্যাভ্যাস; জীবনধারা এবং ঘুমের সময় পরিবর্তন করা; স্থূলতা; অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এবং উত্তরোত্তর বায়ু দূষণ বৃদ্ধি।
কোহ এবং তার সহকর্মীদের মতে কম বয়সীদের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের হার বেশি। এর মধ্যে অন্ত্রের ক্যান্সার, অ্যাপেন্ডিক্স, পিত্ত নালী এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। তারা দেখেন যে ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরাও ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষকদের ধারণা প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি করে খাওয়ার সাথে এর কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এমন কিছু স্বাস্থ্যকর আচরণ পালন করা যেতে পারে- যেমন ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা বা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা, বসে থাকা সময় হ্রাস করা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, ফলমূল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং মাংস, ভাজা খাবার, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম করে। দৈনন্দিন জীবনে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে সামগ্রিকভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পাতা পারে।