গবেষকরা এক অদ্ভুত ধরনের গ্লাভস আবিষ্কার করেছেন। জল প্রতিরোধী ই-গ্লাভস। এই গ্লাভসের সাহায্যে জলের গভীরে স্কুবা ডাইভাররা হাতের সংকেত ব্যবহার করে অন্য ডুবুরিদের সাথে আর নৌকায় অবস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা চালিত, “হ্যান্ড জেসচার রিকগনিশন গ্লাভ”-এ (GRG) রয়েছে এমন এক সেন্সর যা সাধারণত জলের নীচে ডুবুরিদের দ্বারা ব্যবহৃত ১৬টি হাতের অঙ্গভঙ্গির প্রতিক্রিয়া হিসাবে বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে। এই সংকেত পরবর্তী ক্ষেত্রে একটি কম্পিউটারে পাঠানো হয় যেখানে সেই সংকেতগুলো শব্দে অনুবাদ করা হয়। এর ফলে ডুবুরিরা সমুদ্রপৃষ্ঠে নৌকায় থাকা সহযাত্রীদের সাথে আরও দক্ষতার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়।
ই-গ্লাভস কোনো নতুন ধারণা নয়, ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়েছে যেমন স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের সূক্ষ্ম মোটর দক্ষতা পুনরুদ্ধার করতে এই গ্লাভস ব্যবহার করে। তবে জল প্রতিরোধী এবং আরামদায়ক একটি ই-গ্লাভ তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। গবেষণা অনুসারে ইলেকট্রনিক সেন্সরগুলো স্টারফিশের নলাকার পায়ের আকৃতি এবং বিন্যাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে গঠিত হয়েছে। গবেষকরা কিছু নমনীয় আণুবীক্ষণিক কাঠামো পলিডাইমিথাইলসিলোক্সেন নামক একটি জলরোধী প্লাস্টিকের পাতলা আচ্ছাদনের মধ্যে রেখেছে যা বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করে। তারপরে সেটিকে রূপোর আস্তরণে মুড়ে দুটি টুকরো একসাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সেন্সর আনুমানিক একটি USB-C পোর্টের আকারের এবং বিভিন্ন চাপ শনাক্ত করতে পারে। গবেষকদের মতে স্কুবা ডাইভার এবং পৃষ্ঠের মধ্যে যোগাযোগের প্রয়োজন হয় এমন পরিস্থিতিতে এই যন্ত্রটি উপযোগী। অনেক ক্ষেত্রে ভয়েস কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয় যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বার্তাগুলো আটকানো সহজ তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে বার্তা পাঠানোর জন্য জলের নীচে জলপ্রতিরোধী ই-গ্লাভস ব্যবহার উপযোগী কারণ সেনাবাহিনীর কাছে জলের গভীরে টাইপ করা বার্তা প্রেরণ করার প্রযুক্তি থাকলেও, এই ধরনের গ্লাভসের ব্যবস্থা টাইপ করার চেয়ে দ্রুত কাজ করতে পারে।