পৃথিবীর তুলনায় চাঁদকে মরুভূমি বলা যায়। প্রাণের বিকাশের জন্য মোটেই অনুকূল নয় আমাদের উপগ্রহ। জলের স্রোত নেই, মেঘের দাপট নেই, প্রাণের নিশানও তাই নেই। কিন্তু নাসার একজন বিজ্ঞানী এমনটা মানতে নারাজ। এতদিন চাঁদের যতটা আবিষ্কৃত হয়েছে তার চেয়ে সেখানে বেশিকিছুই রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
নাসার গোডার্ড স্পেসফ্লাইট সেন্টারের বিজ্ঞানী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাল সাক্সেনা। তিনি বলছেন, চাঁদের বন্ধ্যা জমিতেও অণুজীবের মতো প্রাণ টিকে থাকতে পারে। স্পেস ডট কম নামের ওয়েবসাইটের সাক্ষাৎকারে প্রবাল সাক্সেনা জানিয়েছেন, বাতাস ছাড়াও বাঁচতে পারে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব চাঁদে রয়েছে।
যদিও বা চাঁদে মাইক্রোবিয়াল প্রাণের নমুনা থাকে, সেটার উৎসও পৃথিবীই। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সম্পূর্ণ অন্ধকার কিছু খাত বা ক্রেটার রয়েছে। সেখানে কোনদিনই সূর্যের আলো পৌঁছায়নি। ফলে, সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক বিকিরণও সেইসব অন্ধকূপে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। ফলে এইসব ক্রেটার হয়তো চরম কিছু অণুজীবের জন্য নিরাপদ স্থান।
ডেইনোকক্কাস রেডিওডুরান্স কিংবা টারডিগ্রেডের মতো অণুজীব যে পৃথিবীর বাইরে মহাকাশেও বেঁচে থাকতে পারে তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে। এই ধরনেরই কিছু অণুজীব চাঁদেও বসতি গড়তে পারে, এমনটাই আশা করেছেন প্রবাল সাক্সেনা।