পূর্ববর্তী গবেষণা অনুসারে, সকালে মোবাইলে অ্যালার্ম বাজলে, স্নুজ বোতামে টিপলে আমাদের ঘুমের ধরণে ক্ষতি হতে পারে। আগে গবেষণায় বলা হয়েছিল মোবাইল স্নুজিং করে পাঁচ বা দশ মিনিটের ঘুমের মিনি-সাইকেল আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। কিন্তু সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটি এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সেই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে কিছু লোকের জন্য, এটি জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতার মাত্রা উন্নত করতে পারে। তারা ল্যাবের অবস্থার মধ্যে ৩১টি অভ্যাসগত স্নুজার দেখেছেন, এবং দেখেছেন যে ৩০ মিনিটের বোনাস স্নুজিং এদের ওপর কোনো খারাপ প্রভাব ফেলেনি। বরং যারা হঠাৎ করে উঠতে বাধ্য হয়েছিল তাদের তুলনায় অভ্যাসগত স্নুজাররা ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে করা কাজের উপর উন্নত বৌদ্ধিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। স্টকহোম ইউনিভার্সিটির ঘুম বিজ্ঞানী টিনা সান্ডেলিন বলেছেন, গবেষণার ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে যদি কেউ উপভোগ করেন তবে সকালে অন্তত ৩০ মিনিটের কাছাকাছি স্নুজ বন্ধ না করলেও চলে। এটি যাদের সকালে তন্দ্রা থাকে তাদের ঘুম থেকে ওঠার সময় একটু বেশি জাগ্রত হতে সাহায্য করতে পারে। এই ৩০ মিনিটের স্নুজ তিনটি ভাগে বিভক্ত হতে পারে যার প্রতিটি ৯ থেকে ১০ মিনিট স্থায়ী হয়।
কিছু অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে গভীর ঘুম থেকে অবিলম্বে ঝাঁকুনি দিয়ে জাগার পরিবর্তে স্নুজিং ঘুম চক্রের হালকা অংশ থেকে সহজে জাগিয়ে তুলতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল স্নুজারদের মধ্যে সকালের তন্দ্রা এবং ছোটো ছোটো সময়ে ঘুম বেশ সাধারণ ছিল। গবেষকরা স্বীকার করেছেন যে স্নুজিং সম্ভাব্য ঘুমকে খণ্ডিত করতে পারে, পাশাপাশি কিছু সুবিধাও পর্যবেক্ষণ করা গেছে। উপসংহার বলা যায় এটি ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে। একটি সংক্ষিপ্ত স্নুজ পিরিয়ড ঘুমের যথেষ্ট ব্যাঘাত না করে যাদের সকালের তন্দ্রা রয়েছে তাদের ঘুমের জড়তা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণাটি জার্নাল অফ স্লিপ রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছে।