গরু বা অন্য প্রাণীর দুধের বিকল্পের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। ওট, সোয়া কিংবা অ্যামন্ড থেকে উদ্ভিজ্জ দুধের জোগান কম নয়। কিন্তু তাতে খাদ্যগুণ ততটা নেই। স্বাদেও গরুর দুধের মতো নয়।
প্রাণীবর্জিত দুধ আর দুগ্ধজাত দ্রব্যের উৎপাদনের জন্যে উদ্যোগী হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরনো ডেয়ারি সমবায়, নর্কো। সে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থার সাথে জুটি বেঁধেছে নর্কো। প্রায় এক দশক আগে কমনওয়েলথ সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন উদ্ভিজ্জ দুধের বাণিজ্যিক উৎপাদন নিয়ে গবেষণা আরম্ভ করেছিল।
প্রশ্নটা হচ্ছে উদ্ভিদজাত দুধের মধ্যে স্বাদ আর খাদ্যগুণ যদি আসল দুধের মতোই করা যায়? তাহলে কি বিক্রিও ততটাই হবে? নার্কো সংস্থার সিইও মাইকেল হ্যাম্পসন বলছেন, দুটোই এখনকার গুণমান অনুযায়ী প্রায় সমান কিন্তু মনে রাখতে হবে বিকল্প দুধের উৎপাদন এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আরও কয়েক বছরের গবেষণায় হয়তো উদ্ভিজ্জ দুধ সত্যিই গ্রহণযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠবে।
মাইকেল হ্যাম্পসনের সংস্থার জন্য ইতিমধ্যেই ‘ইডেন ব্রিউ’ নামের একটা প্রতিযোগী সংস্থা রয়েছে। তারাও প্রাণীবর্জিত দুধের উৎপাদনের সাথে যুক্ত। ২০২১ সালের জুলাই মাসে এই স্টার্টআপ কোম্পানির পথচলা শুরু। এই বছরেই তাদের প্রথম আইসক্রিম বাজারে আসবে। সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জিম ফেডার বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রোটিনের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্ভিজ্জ দুধের জনপ্রিয়তাও বাড়বে।