হিপোক্রেটস আর প্লিনির লেখায় ডাঙার শামুকের শ্লেষ্মার গুরুত্ব লেখা আছে। কাটাছেঁড়া হোক কিংবা আগুনে পোড়ার ক্ষত সারাতে ঐ মিউকাস কাজে লাগানো হত প্রাচীনকালে। এই পুরাতন চিকিৎসাপদ্ধতির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের অন্তর্গত কুনমিং ইন্সটিটিউট অফ বোটানির বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক জৈবিক এক আঠালো পদার্থ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
নেচার কমিউনিকেশনস পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে কুনমিং ইন্সটিটিউটের গবেষকরা মূল্যায়ন করে দেখেছেন শামুকের লালারসের ক্ষত সারানোর ক্ষমতা।
প্রতিবছর অগুনতি মানুষ বিভিন্ন রকমের ক্ষত নিয়ে ভোগেন। চামড়ায় ছড়ে যাওয়া, কেটে যাওয়া থেকে শুরু করে শল্যচিকিৎসার সময় কাটাছেঁড়া অথবা ক্রনিক আলসারের মতো সমস্যা। বিশেষত, ডায়াবেটিক ফুট আলসার বা ঘায়ের মতো রোগ নিরাময়ে কাজে লাগানো যায় শামুকের শ্লেষ্মা।
গবেষণাপত্রে, বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন ৩০-৫০% প্রোটিন আর ১০-১৬% সালফেটেড গ্লাইকোসামিনোগ্লাইকান। শামুকের শ্লেষ্মার মধ্যে যে রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণ, তার মধ্যে ফাইবারযুক্ত প্রোটিন আর পলিস্যাকারাইড আছে। এই রাসায়নিকগুলো কৃত্রিম উপায়ে কোষ গঠন আর কোষের চরিত্র নিয়ন্ত্রণ করে।