বিশ্ববাসীর জন্য খুশির খবর শোনাচ্ছে ক্যালটেক, ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি। এই বছরই ‘ক্যালটেক স্পেস সোলার পাওয়ার প্রোজেক্ট’ বা সংক্ষেপে এসএসপিপি-র প্রতিরূপ (প্রোটোটাইপ) কক্ষপথে স্থাপিত হবে। জাঁদরেল পরিকল্পনা, সন্দেহ নেই। মহাকাশে সৌরশক্তি উৎপাদন করে সেটা পাঠানো হবে পৃথিবীতে।
সূর্যের আলো আর তাপ থেকে শক্তি তো পৃথিবীতে বসেই মিলবে। তার জন্যে মহাকাশে যন্ত্র বসাবার প্রয়োজনটা কোথায়? পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে কিন্তু দিন-রাতের গল্প নেই। অর্থাৎ হাতেকলমে অফুরান শক্তি উৎপাদন করা যাবে প্রতি মুহূর্তেই। বিশেষ ঋতুতে বিশেষ সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। বিজ্ঞানের জন্য মহৎ মাইলফলকই শুধু নয়। কল্পবিজ্ঞান যেন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। মূল প্রকল্পের জন্যে একটা বিশেষভাবে নির্মিত মহাকাশযান থাকবে পৃথিবীর বাইরে নির্দিষ্ট কক্ষপথে। সূর্যালোক সংগ্রহ করা হবে সেটার মাধ্যমে। তারপর বেতার ব্যবস্থার ধাঁচে, পৃথিবীর যে প্রান্তে বিদ্যুতের প্রয়োজন সেখানে সরাসরি পাঠানো যাবে।
ট্রান্সপোর্টার-৬ অভিযানে স্পেস-এক্স রকেট বয়ে নিয়ে গিয়েছিল যে মোমেনটাস ভিগোরাইড নামের মহাকাশযান, সেটাকেই এখানে কাজে লাগানো হবে। ৫০ কিলোগ্রাম ওজনের একটা প্রোটোটাইপ নিয়ে ঐ স্পেসক্র্যাফট উড়ে যাবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে। তারপর কয়েকটা জরুরি গবেষণার পর ফিরে আসবে। তখনই বোঝা যাবে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কতখানি উজ্জ্বল।