করোনা অতিমারিতে আমাদের চারপাশে কেবল প্রাণঘাতী ভাইরাস ঘুরে বেড়িয়েছে এমনটা নয়। সাথে ছিল শয়ে শয়ে টোটকা, ভুয়ো খবর, নিরাময়ের অবৈজ্ঞানিক সব উপায়। এটা শুধু ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে নয়, অস্ট্রেলিয়াতেও হয়েছে। ‘কোভিড গার্লিক কিওর’ নামের এক শিরোনামে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা দেশে। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা যদিও চিন্তিত। এমন দাবি এখনও অবধি বিজ্ঞানসম্মত কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছেন ওনারা।
রসুনের গল্পটা ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক সংস্থা। ভিক্টোরিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এবং দ্য অস্ট্রেলিয়ান গার্লিক প্রোডিউসারস প্রাইভেট লিমিটেড। গবেষণার দায়িত্বটা তারা দিয়েছিলেন ডোহার্টি ইন্সটিটিউটকে। সেই গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় উৎপাদিত রসুন অ্যান্টিভাইরাসের মতো কাজ করে। এমনকি এও উল্লেখ করা হয় যে এই দেশীয় রসুনের কার্যকারিতা ৯৯.৯৯%। কোভিড-১৯ কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার মোকাবিলায় নাকি সত্যিই সঞ্জীবনীর মতো কাজ করে রসুন।
তবে এমন অপরিপক্ক গবেষণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন দেশের বাকি বিজ্ঞানীরা। উলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলছেন, খুবই প্রাথমিক স্তরের গবেষণা হয়তো এটা। রসুনের নির্যাস নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র। কোনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি।