শীত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, অনেক অভিভাবকই ঠান্ডা এবং ফ্লু-এর মরসুমের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। সাধারণত ছোটো বাচ্চারা বছরে কমপক্ষে ছ’বার সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়। আগে বাবা মায়েরা শুকনো কাশি বা বুকে কফ জমা কাশি থেকে মুক্তি পেতে কাশির সিরাপ বাচ্চাদের দিতেন। কিন্তু এখন আমরা জানি কাশির সিরাপ শিশুদের কাশির চিকিৎসায় খুব একটা কার্যকর নয়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের বিষক্রিয়া এবং তার পরিণামে মৃত্যু-এই সংখ্যা সারা বিশ্বে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান। সেই কারণে অস্ট্রেলিয়া সহ অনেক দেশই আজ ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কাশির ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করেছে। কাশির সিরাপে সক্রিয় উপাদানগুলো নির্ভর করে সেই সিরাপ তৈরির কোম্পানি তাদের সিরাপের যে কার্যকারিতা দাবি করছে তার উপর। এই ওষুধে কাশি কমানো, বুকের জমা কফ ত্রল করা এবং মিউকোলাইটিক্স (কফ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে)- প্রভৃতি নানা ধরনের উপাদান থাকতে পারে।
সর্দি এবং ফ্লুর জন্য বাজারে যে ওষুধগুলো বিক্রি হয় তাতে প্রায়শই ডিকনজেস্ট্যান্ট (সর্দির কারণে বন্ধ নাক খোলার জন্য) এবং হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া বন্ধ করতে এবং ঘুমতে সাহায্য করতে অ্যান্টিহিস্টামিন থাকে। সবচেয়ে ক্ষতি হয় সেই ওষুধে যেগুলোর এক ধরনের প্রশমক ক্রিয়া রয়েছে, যেমন সেডেটিং অ্যান্টিহিস্টামিন বা ওপিওড-ভিত্তিক কাশি কমানোর ওষুধ৷ যে সমস্ত শিশুদের ঘুমের সময় সীমিত তাদের বাবা মায়েরা এই ধরনের ওষুধ পছন্দ করলেও ছোটো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের থেকে গুরুতর ক্ষতি বা মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকতে পারে। ওষুধে ব্যবহৃত সেডেটিভ শিশুদের মধ্যে উত্তেজনা এবং অতি সক্রিয়তা বা হাইপারঅ্যাকটিভিটিও সৃষ্টি করতে পারে।